ব্যাংককে ভয়াবহ বায়ুদূষণ, ২৫০ স্কুল বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৪ | অনলাইন সংস্করণ

ভয়াবহ বায়ুদূষণের কারণে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ২৫০টির বেশি স্কুল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দূষণের মাত্রা এতটাই বেশি যে ব্যাংককবাসীকে দাপ্তরিক কাজ বাড়িতে বসে করার অনুরোধ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি দেশটির রাজধানীতে ভারী যানবাহন চলাচলও সীমিত করা হয়েছে।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে ব্যাংকক মেট্রোপলিটন কর্তৃপক্ষের অধীনে থাকা ৪৩৭টির মধ্যে ১৯৪টি স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়। বায়ুদূষণের কারণে ২০২০ সালের পর সবচেয়ে বেশি স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনা এটি। ওই বছর বায়ুদূষণের কারণে ব্যাংকক মেট্রোপলিটন কর্তৃপক্ষের অধীন সব স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের মৌলিক শিক্ষা বিভাগের আওতাধীন ১৫৬‍টি স্কুলের মধ্যে ৫৮টি স্কুলও আজ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। ব্যাংককে বিভিন্ন সংস্থার অধীনও বেসরকারি স্কুল রয়েছে। তবে এসব স্কুলের সংখ্যা সম্পর্কে জানা যায়নি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ারের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্বের সর্বাধিক দূষিত শহরের তালিকায় ব্যাংককের অবস্থান ছিল ষষ্ঠ। বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫-এর উপস্থিতি। প্রতি বর্গমিটারে এর পরিমাণ ১২২ মাইক্রোগ্রাম। এই ক্ষুদ্র কণা ফুসফুসের মাধ্যমে রক্তপ্রবাহে প্রবেশ করে ক্যানসার হতে পারে।

মৌসুমি বায়ুদূষণ দীর্ঘদিন ধরে থাইল্যান্ডে প্রভাব ফেলছে। এই অঞ্চলের অনেক দেশের মতো থাইল্যান্ডেও শীতকালে ফসলের খড় পোড়ানো ও গাড়ির ধোঁয়া বাতাসের সঙ্গে মিশে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।

এদিকে, সরকার খড় পোড়ানো বন্ধ করেতে প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। এমনকি ঠান্ডা পানি বা শুষ্ক বরফ ধোঁয়াশার ওপরে ছিটানো হচ্ছে। কিন্তু এতে খুব বেশি প্রভাব পড়ছে না। দেশটির এই বায়ুদূষণকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ তুলে বিরোধীদলীয় নেতারা থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে দূষছেন। বর্তমানে তিনি সুইজারল্যান্ডের দাভোসে আছেন। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে অংশ নিচ্ছেন তিনি।

পিপলস পার্টির নেতা ন্যাথাফং রুয়েংপানিয়াউত ফেসবুকে লিখেছেন, সুইজারল্যান্ডে যখন প্রধানমন্ত্রী বিশুদ্ধ বাতাসে নিশ্বাস নিচ্ছেন, থাইল্যান্ডে আরও বিনিয়োগে উৎসাহ দিচ্ছেন...তখন কোটি কোটি থাই মানুষ দূষিত বাতাসে নিশ্বাস নিচ্ছেন।