যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হয়েছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে দায়িত্ব পালনকারী এই শীর্ষ কূটনীতিক সম্প্রতি চুপিসারে পদত্যাগ করেছেন বলে নিশ্চিত করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে একটি সংক্ষিপ্ত ঘোষণায় জানানো হয়েছে, ডোনাল্ড লুর মেয়াদ ২০২৫ সালের ১৭ জানুয়ারি শেষ হয়েছে। ঘোষণায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তাকে বরখাস্ত করা হয়নি।
ডোনাল্ড লু দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। ২০২১ সালে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানসহ এই অঞ্চলে আলোচিত নাম হয়ে ওঠেন তিনি।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকার উৎখাতে তার ভূমিকার অভিযোগ তুলে তাকে বিতর্কের কেন্দ্রে নিয়ে আসেন ইমরান খান। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইমরান খান সরাসরি ডোনাল্ড লুকে ‘বিদেশি ষড়যন্ত্রে’ যুক্ত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত করেন।
২০২৩ সালে বাংলাদেশ সফর করে মার্কিন ভিসানীতির প্রবর্তন এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনের প্রাক্কালে বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশেও ডোনাল্ড লু ব্যাপক আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠেন।
ডোনাল্ড লু নেপালের এমসিসি চুক্তি অনুমোদন, শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক সংকটে হস্তক্ষেপ এবং পাকিস্তান ও বাংলাদেশের রাজনীতিতে মার্কিন স্বার্থ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তার এই কর্মকাণ্ড দক্ষিণ এশিয়ায় মার্কিন কূটনৈতিক কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে থাকবে।
ডোনাল্ড লু ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন সার্ভিস অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি কিরগিজস্তান ও আলবেনিয়ায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত ছিলেন। এছাড়া ভারতে মার্কিন মিশনের ডেপুটি চিফ হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি পাকিস্তানের পেশোয়ারে কনস্যুলেট অফিসার হিসেবেও কাজ করেছেন।