ঢাকা ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মোহাম্মদ দেইফের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করলো হামাস

মোহাম্মদ দেইফের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করলো হামাস

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সামরিক প্রধান মোহাম্মদ দেইফের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে সংগঠনটি।

শুক্রবার (৩০ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, গত বছরের আগস্টে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দেইফকে হত্যার দাবি করে। তবে হামাসের পক্ষ থেকে তা এতোদিন নিশ্চিত করা হয়নি।

গাজায় ইয়াহিয়া সিনওয়ারের পরেই ছিল দেইফের অবস্থান। ইয়াহিয়া সিনওয়ারও গত বছর ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত হন।

দেইফকে গাজায় হামাসের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একজন নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হতো। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলার পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে দেইফ অন্যতম ছিলেন। সেই হামলায় ১২০০ জন নিহত হন ও ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়।

মোহাম্মদ দেইফ ছিলেন হামাসের সামরিক শাখা আল–কাসেম ব্রিগেডের কমান্ডার। তাঁর জন্ম ১৯৬৫ সালে, খান ইউনিস শরণার্থীশিবিরে। ১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর এই শরণার্থীশিবির প্রতিষ্ঠিত হয়। দেইফের নাম ছিল মোহাম্মদ মাসরি। ১৯৮৭ সালে প্রথম ইন্তিফাদা শুরুর পর তিনি হামাসে যোগ দেন। তখন তাঁর নাম হয় মোহাম্মদ দেইফ।

১৯৮৯ সালে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন দেইফ। তখন ১৬ মাস কারাগারে ছিলেন তিনি। হামাসের সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

সূত্রটি আরও জানায়, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব গাজা থেকে বিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রি নিয়েছেন দেইফ। পদার্থ, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন তিনি। তবে নানা বিষয়ে তার আগ্রহ ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক কমিটির প্রধান ছিলেন। মঞ্চে অভিনয় করেছেন।

গাজায় হামাসের টানেল বা সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক উন্নয়নে কাজ করেছেন দেইফ। এছাড়া তিনি হামাসের বোমা বানানোর প্রকল্পে ভূমিকা রেখেছেন। তবে সচরাচর প্রকাশ্যে আসতেন না দেইফ। কয়েক দশক ধরে ইসরায়েলের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় দেইফের নাম ছিল। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে একাধিকবার হত্যাচেষ্টায় দেইফ একটি চোখ হারান। সেই সঙ্গে পায়ে গুরুতর আঘাত পান। ২০১৪ সালে ইসরায়েলের বিমান হামলায় দেইফের স্ত্রী, সাত মাসের পুত্রসন্তান ও তিন বছর বয়সী মেয়ের মৃত্যু হয়।

মোহাম্মদ দেইফ,হামাস
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত