কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানিকৃত পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক কাল (শনিবার) থেকেই বসানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি বলেন, আমাদের সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অভিবাসী ও ফেন্টানিল প্রবেশ করছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। পাশাপাশি আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতিও রয়েছে। এসব সমস্যা সমাধানের জন্যই আমি এই শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তবে তেল আমদানির ক্ষেত্রে এই শুল্ক কার্যকর হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ট্রাম্পের ঘোষণার পর কানাডা ও মেক্সিকোও পাল্টা প্রতিক্রিয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। দেশ দুটি জানিয়েছে, তারা নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ নেবে ও যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত-সংক্রান্ত উদ্বেগ দূর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি করা অপরিশোধিত তেলের ৪০ শতাংশ কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আসে। যদি এই তেলের ওপর শুল্ক বসানো হয়, তবে এর প্রভাব সরাসরি সাধারণ জনগণের জীবনযাত্রার খরচে পড়বে।
এদিকে চীন যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানিল সরবরাহ করছে, যার ফলে হাজার হাজার মার্কিন নাগরিক মারা যাচ্ছে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, চীনের ওপরও নতুন শুল্ক বসানোর পরিকল্পনা চলছে, যা আগে ১০ শতাংশ হারের কথা বলা হলেও আরও বাড়তে পারে।
ট্রাম্পের এই শুল্ক নীতির কারণে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ আবার শুরু হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এর আগে, ২০১৮ সাল থেকে চীনের আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছিল, যার একটি বড় কারণ ছিল ট্রাম্প প্রশাসনের ধারাবাহিক শুল্ক বৃদ্ধির নীতি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, তেলসহ গুরুত্বপূর্ণ আমদানিকৃত পণ্যের ওপর শুল্ক বসানো হলে মার্কিন অর্থনীতি ও সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পেতে পারে। এখন দেখার বিষয়, কানাডা ও মেক্সিকো কী ধরনের পাল্টা পদক্ষেপ নেয় এবং চীন কিভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়।