গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় চুক্তির অধীনে আরও ছয় জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগার থেকে ৬২০ ফিলিস্তিনির মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। শর্ত মানলে বাকি সব জিম্মিকে একসঙ্গেই মুক্তি দিতে রাজি আছে বলে জানিয়েছে হামাস।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) মুক্তি পাওয়া ছয় জিম্মি হলেন এলিয়া কোহেন, ওমের শেম-তোভ, ওমের ওয়েনকার্ট, তাল শোহাম, আভেরা মেনজিসটু ও হিশাম আল-সাইয়েদ। তাদের মধ্যে আভেরা ও হিশাম বেসামরিক নাগরিক। এ দুজন প্রায় এক দশক ধরে গাজায় বন্দী ছিলেন।
গত ১৯ জানুয়ারি এই যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপের ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতির সময় ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিচ্ছে হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগার থেকে ১ হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার চার ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করে হামাস। তবে ওই দিন শিরি বিবাসের দেহাবশেষের জায়গায় ভুল করে অন্য কারও দেহাবশেষ হস্তান্তর করা হয়েছিল। এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় ইসরায়েল। অবশ্য পরদিন শিরি বিবাসের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। ফরেনসিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মরদেহটি শিরি বিবাসের বলে নিশ্চিত করেছে তার পরিবার।
এদিকে, শর্ত মানলে এক ধাপে বাকি সব ইসরায়েলি জিম্মিকে একসঙ্গে মুক্তি দিতে হামাস প্রস্তুত রয়েছে বলে সংগঠনটির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন। পাশাপাশি যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময়ের সব ধাপ বাস্তবায়নে হামাসের আন্তরিকতার বিষয়টিও পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি।
হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম বলেন, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে একসঙ্গে সব বন্দিবিনিময়ের কাজটি সম্পন্ন করতে প্রস্তুত রয়েছে হামাস। বিনিময়ে টেকসই যুদ্ধবিরতি, গাজা থেকে পুরোপুরি সেনা প্রত্যাহার এবং কারাবন্দীদের মুক্তির বিষয়ে দখলদারদের (ইসরায়েল) প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে।
আবা/এসআর/২৫