আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ২ শতাধিক ভেনেজুয়েলাবাসীকে জোরপূর্বক বিতাড়িত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। প্রশাসনের দাবি, ফেরত পাঠানো অভিবাসীরা ভেনেজুয়েলার কুখ্যাত গ্যাংয়ের সদস্য, যদিও এই দাবির স্বপক্ষে প্রমাণ মেলেনি। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অভিযোগ, গ্যাং সদস্যদের নামে নিরীহ অভিবাসীদেরও জোরপূর্বক বিতাড়িত করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ২০০ জনেরও বেশি ভেনেজুয়েলার গ্যাং সদস্যকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এল সালভাদরের একটি সুপারম্যাক্স কারাগারে নির্বাসিত করা হয়েছে। যদিও একজন মার্কিন বিচারক তাদের বিতাড়নের বিষয়টি আটকে দিয়েছিলেন।
গত শনিবার মার্কিন জেলা বিচারক জেমস ই বোয়াসবার্গ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নির্বাসন স্থগিতের আদেশ দিলেও, ততক্ষণে শত শত অভিবাসী বহনকারী দুটি বিমান এল সালভাদর ও হন্ডুরাসের পথে রওনা দেয়। লিখিত আদেশের অনুপস্থিতিতে প্রশাসন নির্বাসন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখে।
বিচারকের রায়ের দিকে মজা করে প্রেসিডেন্ট বুকেলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন, “উফ... অনেক দেরি হয়ে গেছে”। তার একটি পোস্টের সাথে সংযুক্ত একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, হাত-পা বেঁধে থাকা লোকদের লাইনে করে সশস্ত্র কর্মকর্তারা বিমান থেকে নিয়ে যাচ্ছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মিত্র বুকেলে লিখেছেন, আটককৃতদের তাৎক্ষণিকভাবে এল সালভাদরের কুখ্যাত মেগা-জেল টেরোরিজম কনফাইনমেন্ট স্টোরে (সেকোট) স্থানান্তর করা হয়েছে। এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তাদের “এক বছরের জন্য” সেখানে রাখা হবে এবং এটি “নবায়নযোগ্য” হতে পারে।
গত শনিবার ট্রাম্প ঘোষণা করেন, তিনি একটি ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেছেন যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ট্রেন ডি আরাগুয়া গ্যাং আমেরিকার বিরুদ্ধে “অনিয়মিত যুদ্ধ পরিচালনা করছে” এবং তিনি ১৭৯৮ সালের এলিয়েন এনিমিস অ্যাক্টের অধীনে এর সদস্যদের নির্বাসন দেবেন।
আবা/এসআর/২৫