ঢাকা বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

পশ্চিম তীর সফরের অনুমতি পাননি ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী

পশ্চিম তীর সফরের অনুমতি পাননি ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী

ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তফাকে পশ্চিম তীরের কয়েকটি শহর ও গ্রামে সফর বা পরিদর্শনের অনুমতি দেয়নি ইসরায়েল।

রোববার (২০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তাফা-কে দখলকৃত পশ্চিম তীরের কয়েকটি গ্রাম ও শহর সফরের অনুমতি দেয়নি—যেখানে অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা বারবার হামলা চালিয়ে আসছে। বিষয়টি শনিবার নিশ্চিত করেছেন এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা।

এই ঘটনাটিকে “বিপজ্জনক নজির” হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ফিলিস্তিনি ওই কর্মকর্তা।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তা জানান, ইসরায়েল রামাল্লাহর পূর্বে অবস্থিত বুরকা ও দেইর দিবওয়ান এবং নাবলুসের দক্ষিণে দোমা ও কুসরা গ্রামগুলোতে প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফার সফরের জন্য প্রয়োজনীয় সমন্বয় করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এই এলাকাগুলোর সাধারণ মানুষ গত কয়েক মাস ধরে অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের সহিংস আক্রমণ ও ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর উপস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন।

তিনি আরও জানান, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ও ইসরায়েলের মধ্যে যে চুক্তি রয়েছে, তার আওতায় ফিলিস্তিনি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের যেকোনও চলাচলের জন্য ইসরায়েলের সঙ্গে সমন্বয় করা বাধ্যতামূলক, কারণ তাদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীও থাকে। কিন্তু এবার সেই সমন্বয় ইসরায়েল প্রত্যাখ্যান করেছে, যেটিকে “একটি বিপজ্জনক নজির” হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।

জানা গেছে, এই সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে মূলত অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের চাপে ইসরায়েল সরকারের নতিস্বীকার। অবৈধ বসতি স্থাপনকারীরা প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফার বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক প্রচারণা চালিয়ে সফর বন্ধের দাবি তোলে এবং ইসরায়েলি সরকার সে দাবি মেনেই ফিলিস্তিনি এই প্রধানমন্ত্রীর সফরের অনুমতি দেয়নি।

আনাদোলু বলছে, ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ পশ্চিম তীরে প্রায় ৭ লাখ ৭০ হাজার অবৈধ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী বসবাস করছে, যারা ১৮০টি বৈধ ঘোষণা করা বসতি এবং ২৫৬টি অননুমোদিত আউটপোস্টে বসবাস করেন। এর মধ্যে ১৩৮টি আবার কৃষিজ ও পশুপালন নির্ভর বসতি।

২০২৪ সালের জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) ইসরায়েলের পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে দশকের পর দশক ধরে চলা দখলকে “অবৈধ” ঘোষণা করে এবং সব বসতি প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়।

কিন্তু বাস্তবে ইসরায়েল সে রায় উপেক্ষা করে বসতি সম্প্রসারণ ও ফিলিস্তিনি জনপদে হস্তক্ষেপ চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে এই সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে মূলত অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের চাপে ইসরায়েল সরকারের নতিস্বীকার। জানা গেছে, তারা প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফার বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক প্রচারণা চালিয়ে সফর বন্ধের দাবি তোলে এবং ইসরায়েলি সরকার সে দাবি মেনেই ফিলিস্তিনি এই প্রধানমন্ত্রীর সফরের অনুমতি দেয়নি।

আনাদোলু বলছে, ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ পশ্চিম তীরে প্রায় ৭ লাখ ৭০ হাজার অবৈধ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী বসবাস করছে, যারা ১৮০টি বৈধ ঘোষণা করা বসতি এবং ২৫৬টি অননুমোদিত আউটপোস্টে বসবাস করেন। এর মধ্যে ১৩৮টি আবার কৃষিজ ও পশুপালন নির্ভর বসতি।

২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই পশ্চিম তীরে উত্তেজনা চরমে রয়েছে। ফিলিস্তিনি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ১৮ মাসে পশ্চিম তীরে সহিংসতায় ইতোমধ্যেই ৯৫২ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৭ হাজারেরও বেশি আহত হয়েছেন।

২০২৪ সালের জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) ইসরায়েলের পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে দশকের পর দশক ধরে চলা দখলকে “অবৈধ” ঘোষণা করে এবং সব বসতি প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়।

কিন্তু বাস্তবে ইসরায়েল সে রায় উপেক্ষা করে বসতি সম্প্রসারণ ও ফিলিস্তিনি জনপদে হস্তক্ষেপ চালিয়ে যাচ্ছে।

পশ্চিম তীর,ফিলিস্তিন,প্রধানমন্ত্রী
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত