ভারতশাসিত কাশ্মীর ও ভারত পাকিস্তান সীমান্তের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দেশটির পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর এই সতর্ক বার্তা দিল দেশটি।
কাশ্মীর ও ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সতর্কতা জারি ছাড়াও মণিপুর এবং মধ্য ও পূর্ব ভারতের বিভিন্ন অংশেও ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
এদিকে বুধবার (২৩ এপ্রিল) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ভারত ভ্রমণের বিষয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। এতে ভারতের যেকোনো জায়গা ভ্রমণে ন্যূনতম দ্বিতীয় মাত্রার সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তবে দেশটির চারটি অঞ্চল ভ্রমণে সর্বোচ্চ চতুর্থ মাত্রার, অর্থাৎ ভ্রমণ না করার নির্দেশনা দিয়েছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ।
যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ভারতের কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলে সন্ত্রাসী হামলা এবং সহিংস বেসামরিক অস্থিরতা ঘটতে পারে। এই অঞ্চলটি ভ্রমণ করবেন না (তবে লাদাখ ও এর রাজধানী লেহ সফরের অনুমতি রয়েছে)। এছাড়া ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে সম্ভাব্য সশস্ত্র সংঘাতের ঝুঁকি থাকায় ওই অঞ্চল এড়িয়ে চলারও পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
বার্তায় আরও বলা হয়েছে, মাওবাদী চরমপন্থি গোষ্ঠী অথবা নকশালপন্থিরা ভারতের একটি বিশাল অঞ্চলে সক্রিয়। এরা স্থানীয় পুলিশ, আধাসামরিক বাহিনী এবং সরকারি কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে অনেক সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। তাই হুমকির তীব্রতার কারণে মার্কিন কর্মকর্তাদের বিহার, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়, পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয় এবং উড়িষ্যা রাজ্যের বেশিরভাগ অঞ্চলে ভ্রমণের আগে অনুমতি নিতে হবে। তবে তারা যদি কেবল এই রাজ্যগুলোর রাজধানী শহরে ভ্রমণ করেন তবে অনুমতির প্রয়োজন নেই। মার্কিন কর্মকর্তাদের জন্য মহারাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চল এবং মধ্যপ্রদেশের পূর্বাঞ্চলে ভ্রমণেও অনুমোদনের প্রয়োজন হবে।
সহিংসতা এবং অপরাধের হুমকির কারণে মণিপুর ভ্রমণেও সর্বোচ্চ চতুর্থ মাত্রার সতর্কতা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া,ভারতে ভ্রমণকারী মার্কিন সরকারি কর্মকর্তাদের সিকিম এবং অরুণাচল প্রদেশ রাজ্যে ভ্রমণের আগে এবং আসাম, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মেঘালয় এবং ত্রিপুরার রাজধানী শহরগুলোর বাইরের যেকোনো এলাকা পরিদর্শনের সময় পূর্বানুমতি নিতে হবে।
উল্লেখ্য, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন পর্যটক। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর এটিই কাশ্মীর উপত্যকায় সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা।