ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

‘বৃষ্টির দিনে যে আমলগুলো করতে পারেন’

‘বৃষ্টির দিনে যে আমলগুলো করতে পারেন’

বৃষ্টির সময় হজরত মুহাম্মদ (সা.) দোয়া কবুলের সুসংবাদ দিয়েছেন। এই সময়ে হজরত মুহাম্মদ (সা.) বিশেষ কিছু আমল করতেন।

বৃষ্টির দোয়া পড়া:- বৃষ্টির সময় দোয়া পড়া সুন্নত। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, হজরত মুহাম্মদ (সা.) বৃষ্টি হতে দেখলে বলতেন- ‘আল্লাহুম্মা সাইয়্যেবান নাফিআ।’ অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি মুষলধারায় যে বৃষ্টি দিচ্ছেন, তা যেন আমাদের জন্য উপকারি হয়। (বুখারি ১০৩২)

বৃষ্টির পানি স্পর্শ করা:- বৃষ্টির প্রতি ফোঁটা পানি রহমতের ধারা হয়ে জমিনে বর্ষিত হয়। হজরত আনাস (রা.) বলেন, আমরা হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সঙ্গে ছিলাম। এ সময় বৃষ্টি নামল। হজরত মুহাম্মদ (সা.) তখন পরিধেয় বস্ত্র প্রসারিত করলেন, যাতে পানি তাকে স্পর্শ করতে পারে। আমরা বললাম, আপনি কেন এমন করলেন? তিনি বললেন, এ পানি আল্লাহর কাছ থেকে এসেছে। (মুসলিম ৮৯৮)

অতি বৃষ্টি বন্ধে দোয়া:- অতি বৃষ্টি হলে তা বন্ধের জন্য হজরত মুহাম্মদ (সা.) দোয়া পড়তেন। হজরত আনাস (রা.) বলেন, এক জুমার দিন হজরত মুহাম্মদ (সা.) খুতবা দেওয়া অবস্থায় এক সাহাবি মসজিদে প্রবেশ করে বললেন, হে আল্লাহর রাসুল আমাদের জন্য বৃষ্টির প্রার্থনা করুন। তখন হজরত মুহাম্মদ (সা.) দুই হাত সম্প্রসারিত করে দোয়া করলেন- উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়া লা আলাইনা; আল্লাহুম্মা আলাল আকামি ওয়াল ঝিবালি ওয়াল আঝামি ওয়াজ জিরাবি ওয়াল আওদিয়াতি ওয়া মানাবিতিশ শাঝারি। অর্থ : হে আল্লাহ, আমাদের আশপাশে, টিলা, মালভূমি, উপত্যকায় এবং বনভূমিতে বৃষ্টি বর্ষণ করুন। (বুখারি ৯৩৩; মুসলিম ৮৯৭)

বৃষ্টি চলমান সময়ে দোয়া করা সুন্নত। হজরত সাহল বিন সাদ (রা.) বলেন, দুই সময়ের দোয়া খুব কমই ফেরত দেওয়া হয়- আজানের সময়ের দোয়া এবং রণাঙ্গনে শত্রুর মুখোমুখি হওয়ার সময়ের দোয়া। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, বৃষ্টির সময়ের দোয়া। (আবু দাউদ ২৫৪০)

আল্লাহ মুসলিম উম্মাহকে বৃষ্টির সময়ে উত্তম আমল যথাযথভাবে পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

বৃষ্টির,দিন,আমল
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত