বৃষ্টিপাত ও বন্যায় চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও কক্সবাজারসহ দেশের অনেক জায়গায় কয়েকদিন ধরে জনজীবন বিপন্ন। বন্যার পানিতে অনেক মসজিদও ডুবে গেছে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে জামাতে আদায় করা ওয়াজিব। কিন্তু বন্যার কারণে ডুবে যাওয়া মসজিদে পানির উপর নামাজ কি পড়তে হবে? পড়লে পদ্ধতি কী হবে?— জানতে চান অনেকে।
এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, মসজিদ পানিতে পূর্ণ হয়ে গেলে সেখানে নামাজ পড়তে হবে না। আশপাশের কোথাও পানিহীন স্থানে রুকু সেজদাসহ নামাজ আদায় করে নেবে।
আবার রুকু সেজদা দিয়ে নামাজ পড়ার মতো স্থান থাকা অবস্থায় বন্যাকালীন সময়ে মসজিদে এসে পানিতে ইশারা করে নামাজ আদায় করলে নামাজ শুদ্ধ হবে না।
মসজিদে আসার ইচ্ছে থাকার কারণে ইনশাআল্লাহ মসজিদে আসার সওয়াব থেকে মাহরুম হতে হবে না।
(তথ্যসূত্র: নুরুল ইজাহ, ‘সালাত’ অধ্যায়, ‘জামাত’ পরিচ্ছদ: ৭৮; হাশিয়াতুত তাহতাভি আলাল মারাকি: ২৯৯; রদ্দুল মুহতার: ২/২৯২; মাওসুয়াতুল ফিকহিয়া আল কুয়েতিয়াহ: ৪২/৬৩; হাশিয়াতুত তাহতাভি আলাল মারাকি: ২৯৭)