ঢাকা ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মুসাফির যেভাবে নামাজ আদায় করবেন

মুসাফির যেভাবে নামাজ আদায় করবেন

ব্যক্তিগত প্রয়োজন, অফিসিয়াল কাজকর্ম কিংবা আনন্দ-ভ্রমণসহ বিভিন্ন কারণে আমাদের দূর-দূরান্তে সফর করতে হয়। এটা মানুষের জীবনযাত্রার স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। মানুষ নিজের আবাস্থলে থাকলে পুরোপুরি নামাজ আদায় করতে হয়। কিন্তু ভ্রমণে গেলে আল্লাহর পক্ষ থেকে আলাদা সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তখন নামাজ সংক্ষেপ করাই ইসলামের বিধান।

মূলত কোনো ব্যক্তি তার অবস্থানস্থল থেকে ৪৮ মাইল তথা ৭৮ কিলোমিটার দূরে সফরের নিয়তে বের হয়ে তার এলাকা পেরিয়ে গেলেই শরিয়তের দৃষ্টিতে সে মুসাফির হয়ে যায়। নিজ এলাকা, গ্রাম বা শহর অতিক্রম করার পর থেকেই সফরের বিধান আরোপিত হবে। এ সময় সফরকারীকে মুসাফির বলে গণ্য করা হবে।

সফরকারীর জন্য শরিয়তের বিধি-বিধানে কিছু শিথিলতা রয়েছে। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আল্লাহ তা’আলা তোমাদের নবির জবানে মুকিম অবস্থায় চার রাকাত ও সফর অবস্থায় দুই রাকাত নামাজ ফরজ করেছেন’ (সহিহ মুসলিম: ৬৮৭)।

পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমরা যখন জমিনে সফর করবে, তখন তোমাদের জন্য নামাজের কসর করায়— কোনো আপত্তি নেই’ (সুরা নিসা, আয়াত: ১০১)।

মাগরিব ও ফজরে কসর নেই। এ দুই ওয়াক্তের ফরজ নামাজ যথাক্রমে তিন রাকাত ও দুই রাকাতই আদায় করতে হবে। ফরজ ছাড়া অন্য নামাজগুলো কসর হয় না। তাই সেগুলো আদায় করলে পরিপূর্ণভাবেই আদায় করতে হবে। বেতর তিন রাকাতই আদায় করতে হবে।

তবে সুন্নাতে মুআক্কাদা নামাজ অর্থাৎ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ফরজের সাথে প্রতিদিন যে বারো রাকাত সুন্নাত নামাজ আমরা আদায় করে থাকি, এগুলো সফর অবস্থায় আবশ্যক থাকে না। ক্লান্তি বা ব্যস্ততা থাকলে এই নামাজগুলো ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে। তবে সময় সুযোগ থাকলে পড়ে নেওয়াই উত্তম।

আর মুসাফির ব্যক্তি স্থানীয় ইমামের পেছনে ইকতিদা করলে সে ইমামের অনুসরণে পূর্ণ নামাজই আদায় করবে। (আল মাবসুত, সারাখসি ১/২৪৩)। এ বিষয়ে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, মুসাফির যদি মুকিমদের সঙ্গে নামাজে শরিক হয় তবে সে তাদের মতো (চার রাকাত) নামাজ পড়ে (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ৩৮৪৯)।

আদায়,নামাজ,মুসাফির
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত