ঢাকা ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শীতে লোশন লাগানোর পর অজুর বিধান

শীতে লোশন লাগানোর পর অজুর বিধান

শীত বা গরম যখনই হোক লোশন অনেকে ব্যবহার করেন। শীতকাল এলে হাত-পায়ে বেশি করে তেল, লোশন, গ্লিসারিন ইত্যাদি ব্যবহার করতে হয়। জানার বিষয় হলো- অজুর সময় যেহেতু তেল, গ্লিসারিন বা লোশনের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয় তাই এতে কি অজু শুদ্ধ হবে কি না।

এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, হ্যাঁ। লোশন, তেল, গ্লিসারিন ইত্যাদি ব্যবহারের পর তৈলাক্ত অঙ্গসমূহে স্বাভাবিকভাবে পানি পৌঁছালেই অজু হয়ে যাবে।

অজুর ক্ষেত্রে শরিয়তের বিধান হলো- চামড়া পর্যন্ত পানি পৌছার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে; এমন জিনিস নেড়েচেড়ে অজুর অঙ্গগুলোতে পানি পৌঁছানো। অন্যথায় অজু হবে না। সেই কারণে সাহাবিরা অজু করার সময় আংটি থাকলে তা ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে অজুর পানি চামড়ায় পৌঁছাতেন।

একই কারণে মোম, আঠা ও পালিশ ইত্যাদি থাকলে সেগুলো পরিষ্কার করে এমনভাবে ধৌত করতে হবে, যেন সর্বাঙ্গে পানি পৌঁছে। (সুনানে কুবরা: ৩৬৭)

ওযু সহী হওয়ার ক্ষেত্রে লোশন, তেল, গ্লিসারিন ইত্যাদি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অজুর অঙ্গগুলো ভালো করে ঘষে নিলেই হবে। তৈলাক্ততা দূর করে পানি পৌঁছানো জরুরি নয় কিংবা সাবান দিয়ে ধোয়ার প্রয়োজন নেই।

লোশন,অজু,বিধান
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত