শবে বরাতের রাতের কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল

প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:২৯ | অনলাইন সংস্করণ

শবে বরাত বা লাইলাতুল বরাত হচ্ছে হিজরি শাবান মাসের ১৫ তারিখের রাত যা গুরুত্বপূর্ণ রাতগুলোর মধ্যে একটি। এই রাতকে ভাগ্যরজনি বলা হয়ে থাকে। হাদিস শরিফে যাকে ‘নিসফ শাবান’ বা শাবান মাসের মধ্য দিবসের রজনী বলা হয়েছে।

রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ রাতে অধিক পরিমাণে ইবাদত করতেন। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কিছু আমল দ্বারা বিশেষ কিছু ইবাদত প্রমাণিত হয় যা তিনি করেছেন। সে আলোকে এ রাতের কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল তুলে ধরা হলো-

নফল নামাজ পড়া

এ রাতে দীর্ঘ (কেরাতে) তেলাওয়াতে নফল নামাজ পড়া। অর্ধ শাবানের রাতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অধিক পরিমাণে দীর্ঘ নফল নামাজ পড়তেন।

কোরআন তেলাওয়াত, জিকির

বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত, দরুদ শরিফ পাঠ, জিকির-আজকারে মশগুল থাকা।

দোয়া করা

নিসফা শাবানের রাতের দোয়া আল্লাহ তাআলা কবুল করেন। তাই বেশি বেশি দোয়া করতে পারেন।

তাওবা ও ইসতেগফার করা

বান্দার গুনাহ মাফে তওবাহ করার বিকল্প নেই। বান্দা নিজের গুনাহের কথা স্মরণ করে আল্লাহর কাছে তা থেকে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করা। তবে আল্লাহ বান্দাকে ক্ষমা করে দেন।

তাসবিহ-তাহলিল পড়া

سُبْحَانَ الله - اَلْحَمْدُ لِلَّهِ - اَللهُ اَكْبَرُ - لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ - لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلَى كُلِّ سَيْئٍ قَدِيْرٌ

উচ্চারণ : ‘সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদির।’

سُبْحَانَ اللهِ وَ بِحَمْدِهِ - سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيْمِ

উচ্চারণ : ‘সুবহানিাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি; সুবহানাল্লাহিল আজিম।’

 يَا حَىُّ يَا قَيُّوُمُ بِرَحْمَتِكَ اَسْتَغَيْثُ

উচ্চারণ : ‘ইয়া হাইয়্যু, ইয়া কায়্যুমু বিরাহমাতিকা আসতাগিছ।’

لَا اِلَهَ اِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ اِنِّىْ كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِيْنَ

উচ্চারণ : ‘লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জ্বালিমিন।’

রোজা রাখা

নিসফা শাবানের রাতের পরের দিন রোজা রাখা। হাদিসে এসেছে-

হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যখন শাবান মাসের ১৫তম রাত তোমাদের সামনে এসে যায় তখন তোমরা সে রাতে নামাজ পড় এবং পরবর্তী দিনে রোজা রাখ।' (ইবনে মাজাহ)