কর্মস্থলে ফেরার সময় গুরুত্বপূর্ণ দোয়া
প্রকাশ : ১৪ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৫৫ | অনলাইন সংস্করণ
পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনে অনেকে গ্রামের বাড়ি গিয়েছেন। ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার পর জীবিকার তাকিদে আবারও কর্মস্থলে ফেরার সময় হয়ে গেছে। তাই চাকরিজীবী, শ্রমজীবী কিংবা ব্যবসায়ীরা পরিবার পরিজনের মায়া ছেড়ে কর্মস্থলে ফেরার সময় ৬টি গুরুত্বপূর্ণ দোয়া পাঠ করার শিক্ষা রয়েছে হাদিসে। নিচে সেগুলো তুলে ধরা হল-
ঘর থেকে বের হওয়ার দোয়া
بِسْمِ اللهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللهِ وَ لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللَّهِ
উচ্চারণ: ‘বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ, লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।’ অর্থ : আল্লাহর নামে, আল্লাহ তাআলার ওপরই নির্ভর করলাম, আল্লাহ তাআলার সাহায্য ছাড়া বিরত থাকা ও মঙ্গল লাভ করার শক্তি কারো নেই।’
আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘যদি কেউ ঘর থেকে বের হওয়ার সময় দোয়াটি পড়ে, তাকে বলা হয় (আল্লাহ তাআলাই) তোমার জন্য যথেষ্ট, তুমি হেফাজত অবলম্বন করেছ (অনিষ্ট থেকে)। তাতে শয়তান তার থেকে দূরে সরে যায়। (তিরমিজি: ৩৪২৬)
পরিবার পরিজনের জন্য দোয়া
أَسْتَوْدِعُكَ اللهَ الَّذِي لَا تَضِيعُ وَدَائِعُهُ
উচ্চারণ: ‘আসতাওদিউকাল্লাহাল্লাজি লা তাদীউ ওয়াদা-ইউহু’ অর্থ: ‘আমি তোমাকে আল্লাহর আমানতে সোপর্দ করলাম, যাঁর নিকট সোপর্দকৃত জিনিস ধ্বংস হয় না।’ (ইবনে মাজাহ: ২৮২৫)
যানবাহন কিংবা নৌযানে আরোহনের দোয়া
বাহনে আরোহনের দোয়া: سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ وَإِنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُونَ উচ্চারণ: ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। সুবহানাল্লাজি সাখখারালানা হা-যা ওয়া-মা-কুন্না লাহু মুকরিনিন, ওয়া ইন্না ইলা রাব্বিনা লামুন কালিবুন।’ অর্থ: ‘আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি অত্যন্ত দয়ালু ও অশেষ করুণাময়। তিনি পূতপবিত্র ওই সত্তা যিনি বাহনকে আমার অধীন করে দিয়েছেন। আমাদের কাছে তাকে আয়ত্তে আনার ক্ষমতা ছিল না। অবশ্যই আমরা আমাদের প্রভুর দিকে প্রত্যাবর্তনকারী।’ (শামায়েলে তিরমিজি: ১৭৩)
নৌযানে চড়ার দোয়া: بِسْمِ اللَّهِ مَجْرَاهَا وَمُرْسَاهَا إِنَّ رَبِّي لَغَفُورٌ رَحِيمٌ উচ্চারণ: ‘বিসমিল্লাহি মাজরিহা ওয়া মুরসা-হা, ইন্না রাব্বি লা গাফুরুর রহিম।’ অর্থ: ‘আল্লাহর নামেই এর গতি ও স্থিতি। আমার পালনকর্তা অতি ক্ষমাপরায়ন, মেহেরবান।’ (সুরা হুদ: ৪১)
ভ্রমণের মাঝপথে দোয়া
أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ الله التَّامَّاتِ من شَرِّ ما خَلَقَ উচ্চারণ: ‘আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত তা-ম্মাতি মিন শাররি মা খালাক।’ অর্থ: ‘আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ কালেমার মাধ্যমে সব ধরনের অনিষ্ট থেকে নিরাপত্তা চাচ্ছি।’ ভ্রমণের মাঝপথে এ দোয়া পড়ার নির্দেশ দিয়ে রাসুল (স.) বলেন, ‘এই দোয়াটি পড়লে, ঘরে ফেরা পর্যন্ত কোনো কিছুই ক্ষতি করতে পারবে না।’ (মুসলিম: ২৭০৮)
সফর শেষে দোয়া
آيِبُونَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَائِبُونَ عَابِدُونَ لِرَبِّنَا حَامِدُونَ
উচ্চারণ: ‘আয়িবুনা ইনশাআল্লাহু তায়িবুনা আবিদুনা লি-রাব্বিনা হামিদুন।’ অর্থ: ‘আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা প্রত্যাবর্তনকারী, তাওবাকারী, ইবাদতকারী নিজ রবের প্রশংসাকারী।’ (তিরমিজি: ৩৪৪৭, বুখারি, ওমরা: ১৭৯৭; মুসলিম, হজ: ১৩৪৪)
কর্মেক্ষেত্রে বরকত লাভের দোয়া
اللهم اكْفِنِي بِحَلَالِكَ عن حَرَامِكَ ، وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ
‘আল্লাহুম্মাকফিনি বি হালালিকা আন হারামিক, ওয়াগনিনি বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াক।’ অর্থ: হে আল্লাহ! হারামের পরিবর্তে আপনার হালাল রুজি আমার জন্য যথেষ্ট করুন। আর আপনাকে ছাড়া আমাকে কারো মুখাপেক্ষী করবেন না এবং স্বীয় অনুগ্রহ দিয়ে আমাকে সচ্ছলতা দান করুন। (তিরমিজি: ৩৫৬৩; মুসনাদ আহমদ: ১৩২১)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উপরোক্ত দোয়াগুলো যথাসময়ে পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।