আজ পবিত্র ঈদুল আজহা। সওয়াব অর্জনের অনন্য আমল এ দিনে পশু কোরবানি। হযরত আদম (আ.)-এর দুই ছেলে হাবিল ও কাবিল থেকে কোরবানি শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে কুরবানির জন্য হযরত ইবরাহিম (আ.) ও তার শিশুপুত্র ইসমাইল (আ.)-এর আত্মবিসর্জন কিয়ামত পর্যন্ত প্রতিটি মুমিনের জন্য অনন্য শিক্ষা ও প্রভুপ্রেমের পাথেয়। কুরবানির পশুর কিছু বৈশিষ্ট্য ও গুণাগুন থাকতে হয়। না হয়, কুরবানি আদায় হয় না। আবার যারা কোরবানি করবেন, তাদের অর্থ ও নিয়তের ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্নতা থাকতে হয়।
কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য প্রস্তুত করে কিবলার দিকে ফিরালে, জবাই করার সময় ও জবাই শেষে বিভিন্ন দোয়া পড়তে হয়। তাহলে দোয়া পড়ার সুন্নত আদায়ের পাশাপাশি সওয়াবও লাভ হয়।
পশু কিবলার দিকে ফিরিয়ে যে দোয়া পড়বে
وجهت وجهي للذي فطر السموات والأرض حنيفا وما أنا من المشركين، إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ، لَا شَرِيكَ لَهُ ۖ وَبِذَٰلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا أَوَّلُ الْمُسْلِمِينَ، بسم الله الله أكبر.
উচ্চারণ: ইন্নি ওয়াজ জাহতু ওয়াজ হিয়া লিল্লাযি ফাতারাছ ছামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানিফাও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকিন। ইন্না সালাতি ওয়া নুসুকি ওয়া মাহ ইয়ায়া ওয়া মামাতি লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। লা শারিকা লাহু ওয়া বিজালিকা উমিরতু ওয়া আনা মিনাল মুসলিমিন।...বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার।
অর্থ : নিশ্চয়ই আমি দৃঢ়ভাবে সেই মহান সত্তার অভিমুখী হলাম, যিনি আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন। আমি মুশরিকদের অন্তর্গত নই। নিশ্চয়ই আমার নামাজ, আমার কোরবানি, আমার জীবন ও আমার মরণ—সবই বিশ্ব প্রতিপালক মহান আল্লাহর জন্য নিবেদিত। তাঁর কোনো শরিক নেই। আমি এ কাজের জন্য আদিষ্ট হয়েছি। আর আমি আত্মসমর্পণকারীদের একজন। আল্লাহর নামে, আল্লাহ সবচেয়ে মহান।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ২৭৮৬; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩১২১) পশু জবেহ করার সময় এই দোয়া পড়বে
اللهم مِنكَ وَلَكَ
আল্লাহুম্মা মিনকা ওয়া লাকা।
অর্থ : হে আল্লাহ, (এই কোরবানির পশু) তোমার পক্ষ থেকে প্রাপ্ত এবং তোমারই জন্য উৎসর্গকৃত।
এরপর بسم الله الله أكبر পড়বে।
উচ্চারণ : বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার
অর্থ : মহান আল্লাহর নামে শুরু করছি। আল্লাহ সবচেয়ে বড়।
জবেহ করার পর এই দোয়া পড়বে
اللهم تقبل منا كما تقبل من حبيقك محمد وخليلك إبراهيم عليه السلام
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা তাকাব্বালহু মিন্নি কামা তাকাব্বালতা মিন হাবিবিকা মুহাম্মাদিন ওয়া খলিলিকা ইবরাহিমা আলাইহিমাস সালাম।’
অর্থ : হে আল্লাহ, এই কোরবানি আমার পক্ষ থেকে কবুল করুন, যেভাবে আপনি তা কবুল করেছিলেন আপনার প্রিয় বন্ধুদ্বয় মুহাম্মদ (সা.) ও ইবরাহিম (আ.)-এর পক্ষ থেকে। (মেশকাত : ১/১২৮)
জেনে রাখা উচিত, এসব দোয়ার মধ্যে কোরবানির সময় শুধু ‘বিসমিল্লাহ’ বলা ওয়াজিব। ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবর’ বলা উত্তম। এর অতিরিক্ত যে কথাগুলো আছে, সেগুলো বলা মোস্তাহাব।