ঢাকা ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পবিত্র আশুরার রোজা এবং এর ফজিলত

পবিত্র আশুরার রোজা এবং এর ফজিলত

আরবি বছরের প্রথম মাস মহররম। মহররমের ১০ তারিখ পবিত্র আশুরা। দেশের আকাশে শনিবার (৬ জুলাই) ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র মহররমের চাঁদ না দেখা যাওয়ায় সোমবার (৮ জুলাই) থেকে মহররম মাস গণনা শুরু হয়। সে অনুযায়ী ১৭ জুলাই (বুধবার) পালিত হবে পবিত্র আশুরা।

আশুরা عَاشُورَاء আরবি শব্দ; আশারা থেকে শব্দটির উৎপত্তি। এর অর্থ হচ্ছে ১০। আরবি সনের প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখকে পবিত্র আশুরা বলা হয়।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আশুরার রোজা কবে রাখতে হবে।

মহররম মাসের ১০ তারিখ ‘আশুরা’ উপলক্ষে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রোজা রেখেছেন এবং সাহাবিদেরও রোজা রাখতে বলেছেন। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হিজরতের পর মদিনার ইহুদিদের আশুরার দিন রোজা রাখতে দেখে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। তারা বলল, এটি একটি উত্তম দিন যেদিন আল্লাহ মুসা (আ.) ও বনি ইসরাইলকে ফেরাউনের মুক্তি দিয়েছেন। তাই মুসা (আ.) এ দিন রোজা রাখতেন। তখন আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ‘আমি তোমাদের চেয়েও মুসার (আ.) অধিক নিকটবর্তী।’ এরপর তিনি এ দিন রোজা রাখেন, অন্যদেরও রোজা রাখার নির্দেশ দেন। (সহিহ মুসলিম: ২৫৪৮)

আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সব সময় আশুরার রোজা রাখতেন। কখনও তিনি আশুরার রোজা বাদ দেননি। উম্মুল মুমিনীন হাফসা (রা.) বলেন, নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কখনো চারটি আমল পরিত্যাগ করেননি। সেগুলো হলো, আশুরার রোজা, জিলহজের প্রথম দশকের রোজা, প্রতি মাসে তিন দিন রোজা, ও ফজরের পূর্বের দুই রাকাত নামাজ। (সুনানে নাসাঈ: ২৪১৬)

হজরত হাফসা (রা.) বলেন, নবীজি কখনো চারটি আমল ছাড়তেন না। আশুরার রোজা, জিলহজের প্রথম দশকের রোজা, প্রতিমাসের তিনটি রোজা এবং ফজরের আগের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ২৬৩৩৯)

আশুরা,রোজা,ফজিলত
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত