শরিয়তের নির্দেশনা হল, যে কোনো দান দাতার ইচ্ছা অনুযায়ী ব্যয় করতে হয়। তাই যে টাকা মানুষ মসজিদের জন্য দিয়েছে তা মসজিদের কাজেই খরচ করতে হবে। মসজিদের জন্য দানকৃত অর্থ মসজিদ ছাড়া বন্যার্ত বা দরিদ্র্য ও অসহায় মানুষদের দান করাসহ অন্য জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা যাবে না।
কারণ এ রকম নির্দিষ্ট ফান্ডে কৃত দান ফান্ড কর্তৃপক্ষের কাছে দাতার আমানত। দাতার ইচ্ছার বাইরে তা খরচ করলে আমানতের দাবি যথাযথভাবে রক্ষিত হয় না।
বন্যার্ত মানুষের সাহায্য করার জন্য পৃথকভাবে দান সংগ্রহ করতে হবে এবং মানুষকে বেশি বেশি দান করতে উৎসাহিত করতে হবে যেন মানুষ মসজিদে দান করার পাশাপাশি বন্যার্ত, দরিদ্র ও অভাবগ্রস্তদের জন্যও দান করে।
যে সব মসজিদের দানবক্সে প্রচুর টাকা জমা হয়, মসজিদের প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত হয়ে যায়, ওই সব মসজিদ কর্তৃপক্ষ চাইলে মসজিদের দানবক্সের পাশাপাশি বন্যার্ত বা দরিদ্র্য মানুষের সাহায্যের জন্যও একটি দানবক্স রাখতে পারেন যাতে স্পষ্টভাবে লেখা থাকবে যে এই অর্থ অসহায়-দরিদ্রদের জন্য খরচ করা হবে।
মসজিদ নির্মাণ, সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন, নামাজী ও ইতেকাফকারীদের সুযোগ-সুবিধার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা, ইমাম-মুয়াজ্জিনদের বেতন-ভাতা ও আবাসনের ব্যবস্থা, মসজিদে মুসল্লিদের দীনি ইলম চর্চার জন্য পাঠাগার, দীন শেখার ব্যবস্থাপনা, শিশুদের শিক্ষাদানের ব্যবস্থাপনাসহ মসজিদের সব কাজে ব্যয় করার পরও যদি কোনো মসজিদের অর্থ উদ্বৃত্ত থাকে, তা ভবিষ্যতে মসজিদের সম্ভাব্য নির্মাণ-সম্প্রসারণ ও উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সংরক্ষণ করে রাখবে।
ভবিষ্যতের সম্ভাব্য খরচের যোগান দেওয়া যায়- এ পরিমাণ টাকা গচ্ছিত রাখার পরও টাকা অতিরিক্ত হলে তা বাস্তবে প্রয়োজন আছে, আশপাশের এমন কোনো মসজিদে দিয়ে দেওয়া যেতে পারে।