খাবারের স্বাদ বাড়াতে কাঁচা মরিচের জুড়ি মেলা ভার। খাবারের গন্ধ ও ঝাঁজ আনতে কাঁচামরিচ তরকারিতে দিয়ে থাকেন অনেকে।
মাছ, মাংস, শাক, সবজি, ভর্তা, সালাদ ইত্যাদি তৈরিতে তো লাগেই, অনেকে আবার ভাতের সঙ্গে কাঁচামরিচ চিবিয়ে খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু হঠাৎ করে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজার থেকে একসঙ্গে বেশি পরিমাণ মরিচ কিনেন অনেকে। তাতে একটি সমস্যা, মরিচ বেশি দিন রাখলে পচে যায়।
তবে কয়েকটি কৌশল জানা থাকলে কাঁচামরিচ দীর্ঘদিন তাজা রাখতে পারবেন—
* কাঁচামরিচ পলিথিনের ব্যাগে ভুলেও সংরক্ষণ করবেন না। কারণ কাঁচামরিচ পলিথিন ব্যাগে রাখলে দ্রুত পচে যেতে পারে। যদিও রাখেন তাহলে
জিপার ব্যাগে রাখতে পারেন।
* কাঁচামরিচের বোটা থাকলে তা দ্রুত পচে যায়। তাই কাঁচামরিচ সংরক্ষণ করতে বোটা ছাড়িয়ে রাখুন।
* বাজার থেকে মরিচ কিনে পানিতে পরিষ্কার করুন। এরপর পানি শুকিয়ে ফ্রিজে একটি ঢাকনা যুক্ত বক্সে রেখে দিন। ঢাকনার আগে একটা কাগজ
বা টিস্যু পেপার রাখতে হবে। এতে মরিচগুলোকে শুষ্ক রাখবে। কয়েক দিন পর পর কাপড়, কাগজ বা টিস্যু পেপার ভেজা মনে হলে বদলিয়ে
দিতে হবে।
* টিস্যু পেপার বক্সের নিচে রেখে তার ওপরে একটি রসুন রাখতে হবে। তারপর মরিচগুলোকে বক্সে দিতে হবে। এভাবে মরিচ প্রায় তিন মাস পর্যন্ত
সংরক্ষণ করা যায়।
* অন্যান্য মসলার বা সবজির সঙ্গে কাঁচা মরিচ এক জায়গায় রাখবেন না। মরিচ সবসময় আলাদাভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। কারণ অন্যান্য মসলার
আর্দ্রতার সংস্পর্শে এলে মরিচ নষ্ট হতে শুরু করে।
* ব্লেন্ডার মেশিন দিয়ে পেস্ট করে কাঁচা মরিচ সংরক্ষণ করতে পারেন। এটি করার সময় অবশ্যই লবণ দেবেন। তাহলে কাঁচা মরিচের গন্ধ ঠিক
থাকবে। এরপর ডিপফ্রিজে রাখলেই ভালো থাকবে।কাঁচামরিচ পুষ্টিগুণে ভরা। এতে ভিটামিন ‘এ’ রয়েছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কাঁচা মরিচ। এ ছাড়া ভিটামিন ‘কে’ রয়েছে কাঁচা মরিচে। সব ধরনের মরিচেই আছে ক্যাপসেইসিন নামের একটি উপাদান।