সন্দেহপ্রবণতা কমিয়ে দিতে পারে আয়ু!

প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:৩০ | অনলাইন সংস্করণ

সন্দেহপ্রবণতা মানুষের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে পড়ে। তবে সব কিছুতেই সন্দেহপ্রবণতা একটি মানসিক সমস্যা হিসেবে বলে থাকেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা। 
জি নিউজ জানায়, অতিরিক্ত সন্দেহপ্রবণতাকে বিপজ্জনক বলছে সুইডেনের একটি সমীক্ষা। এতে দেখা যায়, বেশি সন্দেহপ্রবণ লোকদের আয়ু কমে যায়।

দেশটির স্টকহোম ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক, প্রায় ২৪ হাজার মানুষের ওপর গবেষণা চালিয়ে এমনটাই দাবি করেছেন। 

আরও অনেক বিজ্ঞানীরা বলছেন, সন্দেহপ্রবন মানসিকতা আমাদের আয়ু কমিয়ে দিতে পারে!

সম্প্রতি সুইডেনের স্টকহোম ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক, প্রায় ২৪ হাজার মানুষের ওপর গবেষণা চালিয়ে এমনটাই দাবি করেছেন। এই ২৪ হাজার মানুষের প্রায় ৫৮ শতাংশ অন্যকে সহজে বিশ্বাস করতে পারেন না। এক কথায়, তারা সন্দেহপ্রবন মানসিকতার অধিকারী। অন্যদিকে এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের ৩৭ শতাংশ মানুষ সজাগ বিবেচনার পাশাপাশি অন্যকে বিশ্বাসও করেন স্বাভাবিক ভাবেই।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মৃত ব্যক্তিদের তালিকায় যারা জীবদ্দশায় ইতিবাচক চিন্তা-ভাবনা করতেন, তারাই বেশি দিন বেঁচে থেকেছেন। গবেষকরা দেখেছেন, যাদের মধ্যে সন্দেহের প্রবণতা কম, তাদের মধ্যে হার্টের সমস্যাও অন্যান্যদের তুলনায় কম। এই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বয়স্ক মানুষের মধ্যে তরুণদের তুলনায় ইতিবাচক চিন্তা-ভাবনা অনেক বেশি।

স্টকহোম ইউনিভার্সিটির গবেষকদের মতে, মানসিকতার ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটিয়ে, উদার চিন্তা-ভাবনার সাহায্যে সুন্দর জীবন ও দীর্ঘায়ুর অধিকারী হতে পারেন যে কোনও ব্যক্তি। তবে এই মতামত সমর্থন করতে পারেননি মনোবিজ্ঞানীদের একটা বড় অংশ। দ্বিধাহীন ভাবে সকলকে বিশ্বাস করার ক্ষেত্রে প্রতারিত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে। ইতিবাচক চিন্তা-ভাবনা জীবনকে সুন্দর করে তুলতে পারে ঠিকই, তবে দ্বিধাহীন ভাবে সকলকে বিশ্বাস করাটাও ঠিক নয় একেবারেই।