আমাদের দেশে শীত খুব কম দিনের জন্য হলেও এর প্রভাব কিন্তু কম নয়। এ সময়ে জ্বর, ঠান্ডা, কাশি, এগুলোর সঙ্গে চোখ উঠা, জ্বালাপোড়া করা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখে চুলকানি, পানি পড়া, চোখ ব্যথা এ অসুবিধাগুলোও বেড়ে যায়।শুধু যে সর্দি-কাশিই সবচেয়ে বিরক্তিকর সমস্যা, তা নয়। শীতকালে চোখের সমস্যা খুব কমন। বাতাসে আর্দ্রতা কমলে চোখেও শুষ্কভাব বাড়ে। ড্রাই আইসের সমস্যা দেখা দেয়। এমনকী ঠান্ডা হাওয়া, রোদ, ধুলোবালি সব কিছুই চোখের উপর প্রভাব ফেলে। তাই এই শীতে চোখকে ভালো রাখতে কী-কী করবেন, জেনে রাখুন।
১) শীতকালে ড্রাই আইসের সমস্যা খুব কমন। ড্রাই আইস হলে চোখে জ্বালা ভাব বাড়ে, রোদে চোখ খোলা যায় না, ঘন ঘন চোখের পাতা পড়ে। এই সমস্যা এড়াতে চোখে লুব্রিকেটিং আই ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া রোদে সানগ্লাস ব্যবহার করুন। স্ক্রিন টাইম কমিয়ে ফেলুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
২) শীতে রোদের তেজ কম থাকলেও ইউভি রশ্মি কিন্তু সারা বছরের মতোই ক্ষতিকর। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি চোখের রেটিনা ও কর্নিয়ার ক্ষতি করে। ল্যাপটপ, মোবাইলের স্ক্রিন চোখ রাখলে যতটা ক্ষতি হয়, একই ক্ষতি হয় সূর্যের আলোতেও। তাই রোদে বেরোলে সানগ্লাস মাস্ট।
৩) শীতকালে যে কোনও সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ভাইরাল কনজেক্টিভাইটিস হওয়ার ঝুঁকিও থাকে। এ ছাড়া অন্যান্য ভাইরাল ইনফেকশনও হতে পারে চোখে। এই সমস্যা এড়াতে ঘন ঘন চোখে হাত দেবেন না। চশমা পরলে তা নিয়মিত পরিষ্কার করুন। লেন্স ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সচেতন থাকুন।
৪) ধুলোবালির কারণে চোখে অ্যালার্জি হতে পারে। চোখে চুলকানি, লালচে ভাব, চোখ দিয়ে জল পড়ার সমস্যা বাড়ে। তাই চেষ্টা করুন বাড়ি-ঘর পরিষ্কার রাখার। রাস্তায় বেরোলে সানগ্লাস বা চশমা ব্যবহার করুন। চুলকানি হলে নোংরা হাতে চোখ রগড়াবেন না। এ ছাড়া অ্যান্টি-অ্যালার্জি আই ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন।
৫) চোখকে ভালো রাখতে গেলে স্ক্রিন টাইম কমাতে হবে। পাশাপাশি ২০-২০-২০ রুল মানতে পারেন। অর্থাৎ, প্রতি ২০ মিনিট অন্তত ২০ সেকেন্ডের জন্য ২০ ফিট দূরে তাকান। চোখে ঠান্ডা জলের ঝাপ্টা দিতে পারেন। এ ছাড়া ভিটামিন এ, সি, ই, জিঙ্ক ও লুটেইন সমৃদ্ধ খাবার খান। এই ধরনের পুষ্টি চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।