ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। বারো মাসই কিন্তু ফল খেতে হবে, তবেই শরীর সুস্থ থাকবে। চিকিৎসকেদের মতে, যে ব্যক্তি নিত্যদিন ফল খান, তার রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সারা বছরই একদম ফিট থাকেন। যে কারণে অনেকে বাড়িতে একেবারে ফল এনে রেখে দেন; যাতে বারাবার বাজারে যেতে না হয়।
তবে সব ফল কিন্তু বেশিদিন ভালো থাকে না। কলা থেকে পাকা পেঁপে বর্ষাকালে খুব সহজেই নষ্ট হয়ে যায়; যা নিয়ে সবাই বেশ চিন্তায় পড়ে যান। অনেকেই জানেন না ফল অনেকদিন ভালো উপায়। যদি আপনি ফল বাড়িতে তাজা ও সতেজ রাখতে চান ও মিষ্টি ভাব বজায় রাখতে চান তাহলে মানতে পারেন এই টিপসটি।
পেয়ারা:
পেয়ারা জমিয়ে রাখা খুবই সহজ। একটি পেয়ারা চার টুকরো করে নিন। বীজ রাখতে বা বাদ দিতে পারেন। এরপর এয়ারটাইট ব্যাগে রেখে দিন। ফ্রোজেন পেয়ারা দিয়ে স্মুদি, জুস বা চাটনি তৈরি করতে পারবেন। এমনকি অফ-সিজনে টোস্টের জন্য জ্যামও বানানো যাবে।
আঙুর:
আঙুরও ডিপ ফ্রিজে জমে রাখা যায়। প্রথমে আঙুর ধুয়ে শুকিয়ে নিন। এয়ারটাইট বক্সে রেখে দিন। ল্যাসি, মোজিতো বা ঠান্ডা পাঞ্চ তৈরির জন্য ফ্রোজেন আঙুর ব্যবহার করুন। লেবুর রস আর চিনি দিয়ে সুগার-কোটেড আঙুর বানিয়ে স্ন্যাকস হিসেবেও উপভোগ করতে পারেন।
বেরি:
স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি বা মালবেরির মতো বেরি সহজেই জমে যায়। বেরিগুলো ধুয়ে শুকিয়ে নিন এবং একটি এয়ারটাইট বক্সে রাখুন। ফ্রোজেন বেরি স্মুদিতে, প্যানকেকের সিরাপ বা দইয়ের সঙ্গে খাওয়ার জন্য উপযুক্ত।
কলা: কলা অতিরিক্ত পাকা হলে তা ডিপ ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। প্রথমে খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে নিন। এরপর একটি এয়ারটাইট বক্সে রেখে দিন। ফ্রোজেন কলা আপনি স্মুদি, কেক বা আইসক্রিমে ব্যবহার করতে পারবেন।
পেঁপে:
অতিরিক্ত পাকা পেঁপে ফেলবেন না। পেঁপে ধুয়ে খোসা ও বীজ ছাড়িয়ে ছোট কিউব করে কাটুন। তারপর জিপলক ব্যাগ বা এয়ারটাইট বক্সে রেখে দিন। সকালে স্মুদি বা রিফ্রেশিং ডেজার্ট তৈরির জন্য ফ্রোজেন পেঁপে খুবই কার্যকর।
এই সহজ পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করে আপনি শুধু অপচয়ই কমাবেন না, বরং নিজের প্রিয় ফলগুলো সারা বছর উপভোগ করতে পারবেন।