বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের চুলের পিগমেন্ট কোষগুলো ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়। যখন চুলের স্ট্র্যান্ডে কম রঙ্গক কোষ থাকে, তখন এটি রঙ হারায় এবং ধূসর, রূপালী বা সাদা হয়ে যায়। এটি মেলানিনের কমে যাওয়ার কারণে হয়।
তবে আজকাল কম বয়সেও চুল ধূসর হয়ে যায়। বিভিন্ন কারণে এমনটি হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে কৃত্রিম রঙের চেয়ে প্রাকৃতিক উপায় বেছে নিতে পারেন চুল কালো করার জন্য। এগুলো ধীরে ধীরে কাজ করলেও ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থের কারণে চুল বা শরীরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করার ভয় থাকে না।
১। আমলকী এবং মেথি হেয়ার মাস্ক
আমলকীতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি রয়েছে, যা চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। মেথিতে প্রোটিন থাকে, যা চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে। আমলকী-মেথির হেয়ার মাস্ক তৈরি করতে আমলকীর গুঁড়া, মেথির গুঁড়া এবং কারি পাতার গুঁড়া দই বা পানির সাথে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। সপ্তাহেএকদিন এই হেয়ার প্যাকটি লাগান।
২। আলুর খোসা
আলুর খোসা ব্যবহার করতে পারেন প্রাকৃতিক কালো চুলের জন্য। পিগমেন্টেশন বাড়ানো এবং ধূসর চুল ঢেকে রাখার অন্যতম সহজ সমাধান এটি। ৬টি আলু থেকে খোসা ছাড়িয়ে নিন এবং ২ কাপ পানি যোগ করুন। ঘন স্টার্চ না পাওয়া পর্যন্ত আলুর খোসা সেদ্ধ করুন। ঠান্ডা হওয়ার পর খোসা ছাড়িয়ে ছেঁকে নিন। শ্যাম্পু শেষে চুল ধোয়ার পর এই পানি দিয়ে ধুয়ে নিন চুল।
৩। ব্ল্যাক টি
চায়ের লিকার ব্যবহার করলেও কালো হবে চুল। ২ টেবিল চামচ চা পাতা ১ কাপ পানি দিয়ে ফুটান। ঠান্ডা হলে চুলে লাগান এই লিকার। ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলার আগে এক ঘন্টা রেখে দিন। সর্বোত্তম ফলের জন্য এটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন।
৪। কারি পাতা এবং নারকেল তেল
কারি পাতায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন বি, যা মেলানিন তৈরি করতে সাহায্য করে। একটি প্যানে ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল গরম করুন। আঁচ বন্ধ করুন এবং ১২ থেকে ১৪টি কারি পাতা যোগ করুন। এটি ২০ মিনিটের ফুটান। ঠান্ডা হয়ে গেলে মিশ্রণটি দিয়ে মাথার ত্বক এবং চুল ম্যাসাজ করুন। এক ঘণ্টা পর শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।