ঢাকা ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

হলুদের যাদুকরী উপকারিতা

হলুদের যাদুকরী উপকারিতা

হলুদ একটি অত্যন্ত উপকারী মসলা, যা দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের শরীরের জন্য উপকারে আসে। এটি মসলা এবং ঔষধি ভেষজ হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে বহু শতক ধরে। ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন রিসার্চ অনুযায়ী, হলুদের মধ্যে এমন কিছু রাসায়নিক উপাদান রয়েছে, যা থেরাপিউটিক সুবিধা প্রদান করে। এই উপাদানগুলিকে কার্কিউমিনয়েড হিসেবে পরিচিত করা হয়, যার মধ্যে প্রধান উপাদান হল কারকিউমিন। হলুদের সর্বাধিক উপকার পাওয়ার জন্য, প্রতিদিন সকালে হলুদ পানি পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা শরীরকে নানা রকম উপকারে সহায়তা করে।

ডায়াবেটিস কমায়

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত সকালে উঠে কাঁচা হলুদ খেলে দেহের অন্দরে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার প্রভাবে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার সুযোগই পায় না।

আর্থ্রাইটিসের ব্যথা হ্রাস করে

হলুদে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকে। আর্থ্রাইটিসের কবল থেকে এই উপাদান রক্ষা করে। হাড়ের কোষকে সুরক্ষা দেয়। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে নড়াচড়ার অসুবিধা দূর করে।

ক্যান্সার বিরোধী ক্ষমতা

যদিও সুনির্দিষ্ট প্রমাণের জন্য অতিরিক্ত গবেষণার প্রয়োজন, তবে কিছু ছোট গবেষণা যেমন পাবমেড সেন্ট্রাল এর এক গবেষণা ইঙ্গিত দেয় যে, হলুদে পাওয়া কারকিউমিন ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি এবং বিস্তার রোধ করতে পারে।

স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে

ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনের প্রাণিদের উপর গবেষণা অনুসারে, কারকিউমিন মস্তিষ্ক থেকে প্রাপ্ত নিউরোট্রফিক ফ্যাক্টর (বিডিএনএফ) নামক হরমোনের পরিমাণ বাড়ায়। এটি স্মৃতিশক্তি এবং শেখার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং স্নায়ু কোষের দীর্ঘায়ুকে সহায়তা করে। যদিও এই সুবিধাগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করার জন্য আরও মানব গবেষণার প্রয়োজন, তবে প্রাথমিক ফলাফলগুলো উৎসাহজনক।

অন্ত্রের গতি উন্নত করে

নিয়মিত হলুদ পানি পান করলে তা গলব্লাডারের পিত্ত এবং অন্যান্য পাচক এনজাইমের উৎপাদন বৃদ্ধি করে হজমের উন্নতি করে। বিপাক উন্নতি এবং পেটের সমস্যা দূর করার পাশাপাশি হলুদ অন্ত্রের গতি উন্নত করতেও সহায়তা করে। জার্নাল অফ গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অ্যান্ড লিভার ডিজিজেস-এ প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, কারকিউমিনের সঙ্গে মৌরি এসেনশিয়াল অয়েল একত্রিত করলে আইবিএসের সমস্যা কমে যায়।

ক্ষত সারায়

কাঁচা হলুদে উপস্থিত কার্কিউমিন এবং আরও নানা সব অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান যে কোনো ধরনের ক্ষতের যন্ত্রণা কমায়। এটা আঘাত সারাতেও দারুণভাবে কাজ করে। এ কারণেই তো ছোট বাচ্চাদের নিয়মিত কাঁচা হলুদ খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। এছাড়া ক্ষতস্থানে অল্প পরিমাণে হলুদ বেঁটে লাগিয়ে দিলেও কিন্তু সমান উপকার পাওয়া যায়।

পিরিয়ডের সমস্যা দূর করে

অনিয়মিত মাসিক রোধ, হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ–বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে হলুদের কারকিউমিন। এই উপাদান পিরিয়ডের আগে ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে থাকে।

হলুদ,উপকারী,ঔষধি,গবেষণা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত