ভ্রু আকর্ষণীয় করবেন যেভাবে

ফ্যাশন-সচেতন নারীরা তাদের চেহারায় নতুনত্ব আনতে নিয়মিতভাবে চুলের কাটে ও সাজে পরিবর্তন করেন। কিন্তু শুধু চুলের কাট বা সাজ নয়, এখন তারা চাইলে দুই চোখের ভ্রুর আকৃতিতেও পরিবর্তন আনতে পারেন। ভ্রুর আকৃতি পরিবর্তন করার মাধ্যমে চেহারায় একটি তাজা এবং ফ্যাশনেবল লুক আনা সম্ভব।

ভ্রু প্লাক করার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা অত্যন্ত জরুরি, যাতে আপনার মুখের সঙ্গে মানানসই সুন্দর শেপ পাওয়া যায়।

• প্রথমত, মুখের গড়ন অনুযায়ী ভ্রুর শেপ রাখতে হবে, যাতে এটি মুখের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। যদি শেপ ঠিকভাবে বুঝতে না পারেন, তবে বিউটি এক্সপার্টের পরামর্শ নেওয়া ভালো। পার্লারে গিয়ে ভ্রু প্লাক করলে চেষ্টা করুন একজন দক্ষ পেশাদারের মাধ্যমে করানোর, যাতে শেপ ঠিক থাকে। প্লাক করার পর ময়েশ্চারাইজার ক্রিম দিয়ে কয়েক মিনিট মাসাজ করা উচিত।

• অনেকের ভ্রু প্লাক করার পর অ্যালার্জি হয়, যার ফলে ভ্রুর চারপাশে লাল হয়ে যেতে পারে বা র্যা্শ বের হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নেওয়া ভালো, এবং যদি সমস্যা বাড়ে, তবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়া, প্লাক করার পর সঙ্গে সঙ্গেই মেকআপ না করা উত্তম, কারণ এতে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকতে পারে।

• ভ্রু চোখের পাশের স্পর্শকাতর স্থান হওয়ায় এটি খুব ঘন ঘন প্লাক করা উচিত নয়। মাসে একবার প্লাক করা আদর্শ। বিশেষ কোনো উৎসব বা উপলক্ষ সামনে থাকলে দুই-তিন দিন আগে প্লাক করে নিন। ভ্রু ঘন করতে চাইলে অলিভ অয়েল, ক্যাস্টর অয়েল বা ভিটামিন ‘ই’ অয়েল দিয়ে প্রতিদিন আলতো করে মাসাজ করলে সহায়ক হতে পারে।

আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, ভ্রু প্লাক করার আগে এটি পুরোপুরি গজানো না থাকলে প্লাক করা উচিত নয়। মাসে একবার প্লাক করা হলে আপনার ভ্রুর আকৃতি নষ্ট হবে না। তবে যাদের ভ্রু দ্রুত গজায়, তারা চিমটা দিয়ে কিছুটা নিজেই প্লাক করতে পারেন, এবং পরে পার্লারে গিয়ে পেশাদার বিউটিশিয়ান দিয়ে প্লাক করানো যেতে পারে। যারা ভ্রু প্লাকের সময় ব্যথা অনুভব করেন, তারা আইস ব্যাগ বা গ্রিন টি ব্যবহার করতে পারেন, যা ব্যথা কমাতে এবং ত্বকের লালভাব বা জ্বালা ভাব দূর করতে সাহায্য করবে।