শিশুর ভালো উচ্চতার জন্য তার খাদ্যাভ্যাসের প্রতি মনোযোগ দেয়া খুবই জরুরি। তবে অনেক সময় স্বাস্থ্যকর জিনিস খাওয়ানো সত্ত্বেও শিশুর বৃদ্ধি হয় না। একটি শিশুর উচ্চতা তাদের পিতামাতার উচ্চতার ওপরও নির্ভর করে। যদি আপনার সন্তানের উচ্চতা বাড়াতে চান, তাহলে অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে। এতে শিশুর শারীরিক ও মানসিক উভয় বিকাশ ঘটবে।
ডিম খাওয়া তো নিঃসন্দেহে ভালো। আর ডিম এমন একটি খাবার, যার প্রতি সবারই কমবেশি টান আছে। বাড়ির শিশুরাও ডিম খাওয়া নিয়ে বিশেষ কোনো আপত্তি করে না। আবার খাদ্যতালিকায় ডিমের পদ থাকলে বড়দের মুখেও হাসি ফোটে। ডিমের স্বাদ নিয়ে ছোট-বড় দুপক্ষই একমত।
শরীরের প্রয়োজনীয় প্রোটিনের জোগান দিয়ে থাকে ডিম। আর আপনার শিশুর শারীরিক উচ্চতা বৃদ্ধিতেও ডিম সাহায্য করে। বাড়ন্ত বয়সে যদি শিশুকে ডিম খাওয়ানো যায়, তাহলে তার উচ্চতা নিয়ে কোনো ভাবনা থাকে না। ডিম খেলে লম্বা হওয়া যায় এ কথা ঠিক। কারণ শরীরে প্রোটিনের জোগান দেয় ডিম। সেই সঙ্গে ডিমে রয়েছে ভিটামিন৬, ভিটামিন১২, ফলিক অ্যাসিড, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সোডিয়াম, থিয়ামিন, আয়রন, জিংক, ভিটামিন ডিসহ নানা উপকারী উপাদান।
পুষ্টিবিদরা বলেছেন— ডিম শিশুর উচ্চতা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। বাড়ন্ত বয়সে যদি শিশুকে ডিম খাওয়ানো যায়, তাহলে তার উচ্চতা নিয়ে কোনো চিন্তা থাকবে না। ডিমের সঙ্গে উচ্চতার একটি সম্পর্ক রয়েছে। ৩০ পেরোনো কেউ যদি এখন লম্বা হওয়ার আশায় ডিম খেতে শুরু করেন, তাহলে সেই ইচ্ছে পূরণ হবে না। কারণ বাড়ন্ত বয়সে যদি শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ডিম খাওয়ানো যায়, তা হলে উচ্চতা সত্যিই বাড়ে।
ডিমে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা উচ্চতা বাড়িয়ে তোলে। প্রতিদিন একটি করে ডিম যদি শিশুকে খাওয়ানো যায়, তা হলে উপকার পাওয়া যাবে। তবে শুধু ডিম খাওয়ালে তো চলবে না। পাশাপাশি দৌড়ঝাঁপও করতে হবে।