ভিটামিন ডি মানব শরীরের হাড় ও অন্ত্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শরীরের নানা প্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখে এবং মনেরও ভালো রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে শীতকালে সূর্যের আলো কম পাওয়ায়, শহরবাসীরা ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির সম্মুখীন হন। তবে, ভয়ের কিছু নেই, কারণ কিছু শাকসবজি এবং খাবারের মাধ্যমে ভিটামিন ডি-এর অভাব পূরণ করা সম্ভব।
ভিটামিন ডি শরীরের হাড় ও পেশির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে, পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং মেজাজের উন্নতি ঘটায়। করোনা মহামারির সময় মানুষ এই ভিটামিনের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিল, কারণ এটি এমন একটি উপাদান, যা সূর্যের আলো থেকে সহজেই পাওয়া যায় এবং এর জন্য বাড়ির বাইরে বের হতে হয় না। বাড়ির ছাদ বা বারান্দাতেই রোদ পোহানো সম্ভব।
যারা দিনের অধিকাংশ সময় অফিসে কাটান এবং রোদে বসার সুযোগ পায় না, তাদের জন্য সাপ্লিমেন্ট একটি বিকল্প হতে পারে। তবে, খাবারের মাধ্যমেও ভিটামিন ডি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। দুগ্ধজাত খাবার, ডিমের কুসুম, মাখন, তৈলাক্ত মাছ, এবং কৃত্রিমভাবে ভিটামিন ডি মেশানো কিছু খাবারের মাধ্যমে এর ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব।
এছাড়া, কিছু শাকসবজি রয়েছে, যা ভিটামিন ডি গ্রহণে সহায়তা করে, যেমন:
১।পালং শাক: শীতে পাওয়া যায় এবং শরীরকে ভিটামিন ডি গ্রহণ করতে সাহায্য করে।
২।করলা: করলা ভাজা কিংবা রস, দুইভাবেই খাওয়া যায় এবং এটি শরীরে ভিটামিন ডি সংগ্রহের ক্ষমতা বাড়ায়।
৩।লাউ: লাউয়ের রস বা রান্না, দুইভাবেই শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব পূরণ করা সম্ভব।
৪।রাঙা আলু: পুষ্টিকর এবং ফাইবারে সমৃদ্ধ এই আলুতে সামান্য পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে।
৫।কুমড়া: কুমড়োর ছক্কা বা অন্যান্য প্রস্তুতিতে ভিটামিন ডি মেলে।
৬।ডাঁটা: ঝোল বা চচ্চড়িতে ব্যবহৃত ডাঁটাতেও ভিটামিন ডি রয়েছে।
৭।ঝিঙে: ঝিঙে ভিটামিন ডি গ্রহণে সহায়ক, যদিও এর গুণাগুণ অনেকেরই অজানা।
৮।মাশরুম: কিছু মাশরুমে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ভিটামিন ডি তৈরি হয়, তবে ছায়ায় জন্মানো মাশরুমে ভিটামিন ডি থাকে না।
এছাড়া, নিয়মিত রোদ পোহানো এবং কিছু শাকসবজি খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে ভিটামিন ডি-এর ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব, যা শীতকালেও শরীর ও মন সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।