প্রত্যেকেই তাদের পেশাগত জীবনে সফল হতে চায়, কিন্তু অনেকেই তা করতে পারে না। কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠা কর্মক্ষেত্রে সফল হতে সাহায্য করতে পারে। আবার কিছু খারাপ অভ্যাস নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এমনকী কখনো কখনো তা চাকরি হারানোর কারণও হতে পারে। যদি আপনি এই ধরনের কোনো ভুল করার বিষয়ে চিন্তিত হন, তাহলে জেনে নিন কর্মক্ষেত্রে কোন কাজগুলো করা যাবে না-
ক্রমাগত সময়সীমা মিস করা
যেকোনো কাজে সময়সীমা পূরণ করা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আপনি যদি ধারাবাহিকভাবে সময়মতো কাজ করতে ব্যর্থ হন, তাহলে সেটি আপনার সময় ব্যবস্থাপনার দক্ষতা এবং নির্ভরযোগ্যতার অভাব প্রমাণ করে। আপনার বস বা নিয়োগকর্তা আপনার ওপর নির্ভর করবেন না, এবং পরিবর্তে আপনার প্রকল্পগুলো অন্য দলের সদস্যদের হাতে তুলে দেবেন। এটি আপনাকে কেবল পিছিয়ে দেবে না বরং অদক্ষতার জন্য আপনার চাকরিও হারাতে হতে পারে।
দুর্বল কমিউনিকেশন স্কিল
যোগাযোগ হলো যেকোনো সম্পর্কের উন্নতির মূল চাবিকাঠি, তা ব্যক্তিগত হোক বা পেশাদার। কর্মক্ষেত্রে স্পষ্ট এবং কার্যকর যোগাযোগ গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আপনি যদি ক্রমাগত ইমেলের উত্তর দিতে ব্যর্থ হন, নির্দেশাবলীর ভুল ব্যাখ্যা করেন অথবা সভায় কথা না বলেন, তাহলে এটি ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করতে পারে। দুর্বল কমিউনিকেশন স্কিল দলগত কাজকেও প্রভাবিত করে এবং অন্যদের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করা কঠিন করে তোলে।
নেতিবাচক মনোভাব থাকা
নেতিবাচক মনোভাব এবং ক্রমাগত পরচর্চা একটি বিষাক্ত কর্ম পরিবেশ তৈরি করতে পারে। আপনার কাজ এবং সহকর্মীদের সম্পর্কে অভিযোগ করা, গুজব ছড়ানো বা কোম্পানির নীতির সমালোচনা করা আপনার পেশাদার সুনামকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই বকবক করার পরিবর্তে, সমাধানে মনোনিবেশ করুন।
দুর্বল প্রোডাক্টিভিটি
কাজ বিলম্বিত করা এবং ধারাবাহিকভাবে প্রোডাক্টিভিটি না থাকা আপনার কাজের নীতির ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। বসরা কর্মীদের দক্ষ হওয়ার প্রত্যাশা করেন। কিন্তু যদি আপনি ঘন ঘন ব্যক্তিগত কাজ, সোশ্যাল মিডিয়া বা অপ্রয়োজনীয় বিভ্রান্তিতে সময় নষ্ট করেন, তাহলে আপনার কর্মক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং এমনকী চাকরি হারাতেও হতে পারে।