আজ (সোমবার) বিশ্ব সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবন দিবস। মানব সভ্যতার আরও সৃজনশীল বিকাশ এবং জাতিসংঘ ঘোষিত স্থিতিশীল লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নতুন উদ্ভাবনকে অনুপ্রাণিত করতে ২০১৮ সালের ২১ এপ্রিল থেকে প্রতি বছর এ দিবস পালন করা হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবন এমন দুটি উপাদান, যা আধুনিক সভ্যতার চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে। মানবসমাজের বিভিন্ন সমস্যার টেকসই সমাধান এবং উন্নয়নের নতুন দ্বার উন্মোচনে সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনের বিকল্প নেই। তবে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখনও অনেক পিছিয়ে রয়েছে বলে মত দিয়েছেন শিক্ষাবিদ ও বিশ্লেষকরা।
তারা বলছেন, এ দেশের তরুণদের সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত করতে হবে। এ জন্য সরকারকে ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া কোলাবোরেশনের মাধ্যমে একটি ইকোসিস্টেম তৈরি করতে হবে।
সৃজনশীলতা, গবেষণা ও উদ্ভাবনে তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশ বেশ পিছিয়ে আছে বলে মনে করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড এন্টারপ্রেনিউরশিপ সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক রাশেদুর রহমান। তিনি বলেন, উদ্ভাবনের সব সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান অনেক পিছিয়ে। এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো সৃজনশীলতা ও গবেষণাবান্ধব পরিবেশের ঘাটতি।
শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শুধু পাঠদানের গণ্ডিতে আটকে না রেখে গবেষণা ও উদ্ভাবনমুখী করে গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষার্থীদের মাঝে সৃজনশীলতা বিকাশে সহায়ক অবকাঠামো, ল্যাবরেটরি, গবেষণা অনুদান ও স্টার্টআপ সহায়তা জরুরি।
আবা/এসআর/২৫