পটিয়ায় সাহিত্য-সাংস্কৃতিক স্বর্ণপদক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ

পটিয়ায় সাহিত্য-সাংস্কৃতিক স্বর্ণপদক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও সাহিত্যবিশারদ আজীবন সম্মাননা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (১১ মার্চ) বিকেলে পটিয়া ক্লাব জালাল-মাহবুব মুক্ত মঞ্চে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

এতে সাহিত্য বিশারদ আজীবন সম্মাননা লাভ করেন লেখক ও গবেষক মুহাম্মদ শামসুল হক। আজীবন সম্মাননা হিসেবে গিফ্ট চেক, সম্মাননা ক্রেস্ট, এক ব্যাগ বই ও উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়। এছাড়াও দেশাত্মকবোধক, রবিন্দ্র সংগিত ও নজরুল গীতিতে প্রথম স্থান অধিকার করে সাহিত্যবিশারদ স্বর্ণপদক লাভ করেন মন্বসীতা চৌধুরী। এছাড়া চিত্রাঙ্কন, দেশাত্মবোধক গান, রবিন্দ্র সংগীত, নজরুল গীতি, লোকগীতি, ছড়াগান, আবৃত্তি, নৃত্য, প্রবন্ধ লিখন, প্রবন্ধ লিখনসহ বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় বিজয়ী ১৫৫ জনকে সার্টিফিকেট ও বিভিন্ন বই পুরস্কার হিসেবে প্রদান করা হয়। 

সাহিত্য বিশারদ স্মৃতি সংসদের সভাপতি মুহাম্মদ সৈয়দ চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন। সংগঠনের উপদেষ্ঠা অধ্যাপক অভিজিৎ বড়ুয়া মানু’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক ছিলেন কবি, সাংবাদিক ও একুশে প্রদকপ্রাপ্ত প্রাবন্ধিক আবুল মোমেন, বিশেষ অতিথি ছিলেন দক্ষিণ জেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের প্রাক্তন ডিন প্রফেসর এ. বি. এম. আবু নোমান। 

বক্তব্য রাখেন, ড. সংঘপ্রিয় মহাথেরো, অধ্যাপক অজিত মিত্র, সংগঠনের উপদেষ্ঠা দেবাশীষ দাশ দীপক, উত্তম ভট্টাচার্য্য, অধ্যাপক ভগিরত দাশ, শওকত হাসান লিটন, গফফারুল বশর মনু, সাইফুল্লাহ পলাশ, হামিম রায়হান, সঞ্জয় দে টিটু, সুকান্ত দাশ, রকি সেন ও রাসেল সেন প্রমূখ।  

অনুষ্ঠানে কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন বলেন, ঊনিশ শতকে বাঙালি মুসলমানরা যখন স্ব-সত্তা, স্বদেশ ও স্বভাষার ঠিকানার সন্ধানে হাতড়িয়ে বেড়াচ্ছিল তখন আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ ১৫০জন কবির প্রাচীন পুঁথিগুলো দেশবাসির সামনে তুলে ধরে জানালেন মুসলমানদের স্বদেশ বাংলাদেশ, স্বভাষা বাংলা ভাষা, এবং তারা দেশজ মুসলমানদেরই বংশধর। তারা রক্তে মাংসে ডালে ভাতে নিখাদ নিখুঁদ বাঙালি। হিন্দুদের মতো তাদেরও রয়েছে গৌরবময় সামাজিক, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। সাহিত্য বিশারদের এ আবিস্কারের ফলে এবং তার প্রায় ছয় শতাধিক প্রবন্ধাবলীর প্রভাবে মুসলিম মনে বাঙালি সত্ত্বা জেগেছে।