আজ কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন

প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৩, ১০:২০ | অনলাইন সংস্করণ

নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭৫তম জন্মদিন আজ। প্রতি বছর এদিন রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রিয়জনদের নিয়ে জন্মদিনের কেক কাটতেন তিনি। সকাল হলে ভক্তরা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতেন প্রিয় লেখককে। দিনব্যাপী নানা আয়োজনে পালিত হতো তার জন্মদিন। এবারও নানা আয়োজনে উদযাপিত হবে দিনটি। ক্ষণজন্মা এ কথাশিল্পীর ২০১২ সালে জীবন কেড়ে নেয় ক্যানসার। মুগ্ধ পাঠকের হৃদয়ে তিনি বেঁচে থাকবেন তার রচনাবলিতে।

১৯৪৮ সালের এই দিনে নেত্রকোনার কেন্দুয়ার কুতুবপুরে হুমায়ূন আহমেদের জন্ম। বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ও মা আয়েশা ফয়েজ। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। তার এক ভাই কথাসাহিত্যিক মুহম্মদ জাফর ইকবাল। অন্য ভাই আহসান হাবীব কার্টুনিস্ট ও রম্যলেখক। হুমায়ূন আহমেদ তার দীর্ঘ চার দশকের সাহিত্যজীবনে উপহার দিয়েছেন সাড়া জাগানো সব উপন্যাস। তৈরি করেছেন হিমু, মিসির আলীর মতো জনপ্রিয় চরিত্র। নির্মাতা হিসেবেও উপহার দিয়েছেন জনপ্রিয় নাটক এবং চলচ্চিত্র। বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি। তার মধ্যে একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, হুমায়ূন কাদির স্মৃতি পুরস্কার, লেখক শিবির পুরস্কার, মাইকেল মধুসূদন দত্ত পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও বাচসাস পুরস্কার উল্লেখযোগ্য।

এই দিন হিমু আর রূপা সেজে তরুণ-তরুণীরা নীল শাড়ি ও হলুদ পাঞ্জাবি পরিধান করে আনন্দ শোভাযাত্রায় গানে গানে গোটা শহর মাতিয়ে তোলে। চলে আড্ডা, বক্তৃতা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে লেখকের লেখা নাটক, সিনেমার গানকে প্রাধান্য দেয়া হয়ে থাকে। দিনটিকে ঘিরে আনন্দে শুধু তরুণরাই নয়। মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিকসহ সুধী মহলের নানা বয়সের নারী-পুরুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়ে থাকে এই দিনটি। কয়েক বছর পরপর এলাকার গুণীজনদের মধ্য থেকে একজন করে মনোনীত করে দেয়া হয় সন্মাননা। ২০১৫ সালে দেশবরেণ্য স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত লেখক বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক যতীন সরকার উদ্বোধন করার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল হিমু উৎসবের।

হুমায়ূন আহমেদ একজন কথাশিল্পী ছিলেন। এটাই তার একমাত্র বড় পরিচয় নয়। সবচেয়ে বড় পরিচয় হলো হুমায়ূন আহমেদ পাঠক সৃষ্টি করে গেছেন। মাসে দুইটা বই পড়তে পারে এমন কোনো লেখক আমাদের দেশে ছিলেন না। আগে পশ্চিম বাংলার ওপর নির্ভর করতে হতো। তিনি অজস্র পাঠক সৃষ্টি করে লেখার প্রতি আগ্রহ বাড়িয়েছেন। দেশবরেণ্য লেখক হুমায়ূন আহমেদ মায়ের বড় সন্তান হিসেবে নানার বাড়ি জেলার মোহনগঞ্জের পৌর এলাকার শেখ বাড়িতে ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি ২০১২ সালের ১৯ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আমেরিকায়।

হুমায়ূন আহমেদ একজন কথাশিল্পী ছিলেন। এটাই তার একমাত্র বড় পরিচয় নয়। সবচেয়ে বড় পরিচয় হলো হুমায়ূন আহমেদ পাঠক সৃষ্টি করে গেছেন। মাসে দুইটা বই পড়তে পারে এমন কোনো লেখক আমাদের দেশে ছিলেন না। আগে পশ্চিম বাংলার ওপর নির্ভর করতে হতো। তিনি অজস্র পাঠক সৃষ্টি করে লেখার প্রতি আগ্রহ বাড়িয়েছেন। দেশবরেণ্য লেখক হুমায়ূন আহমেদ মায়ের বড় সন্তান হিসেবে নানার বাড়ি জেলার মোহনগঞ্জের পৌর এলাকার শেখ বাড়িতে ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি ২০১২ সালের ১৯ জুলাই ক্যান্সারজনিত কারণে আমেরিকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ।