অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশ পেয়েছে তরুণ সাংবাদিক ও লেখক আতিকা রহমানের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘সংলাপহীন শূন্যতা’। চন্দ্রাবতী একাডেমি থেকে প্রকাশিত এ গ্রন্থে প্রেম, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, নিস্তব্ধতা, একাকিত্ব, বিষণ্নতা ও প্রকৃতির আবেগমাখা রূপ ফুটে উঠেছে।
কাব্যগ্রন্থে প্রেম ও প্রকৃতির দারুণ এক রসায়ন তৈরি করেছেন কবি। কখনো প্রকৃতির প্রেমে বিভোর হয়েছেন, আবার কখনো মানুষের প্রেমে পড়ে প্রকৃতির উপাদানকে এক সুতোয় গেঁথেছেন। কিছু কবিতায় ভালোবাসার স্বপ্নময়তা প্রকাশ পেয়েছে, আবার কিছু লেখায় ঘৃণার অভিব্যক্তিও স্পষ্ট। আধুনিক সময়ের প্রতিচ্ছবি ও সমসাময়িক কাব্যিক ভাবনাও ধরা দিয়েছে কবিতাগুলোতে।
কাব্যগ্রন্থ প্রসঙ্গে আতিকা রহমান বলেন, "আমার কবিতায় প্রেম, অপ্রাপ্তি, নিস্তব্ধতা ও শূন্যতার প্রশান্তির খোঁজ আছে। কখনো মন উচ্ছ্বসিত হয়ে ভালোবাসার স্বপ্নরাজ্যে ডুব দিয়েছে, আবার কখনো কাঁটাতারে বিঁধে শূন্যতায় হারিয়ে গেছে। ক্ষোভ, বনলতা প্রেম, ছায়াবাজির কারসাজিতে ফিনিক্স পাখির মতো কূলহারা যন্ত্রণার প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে কবিতায়।"
গ্রন্থের উল্লেখযোগ্য কবিতার মধ্যে রয়েছে ‘সংলাপহীন শূন্যতা’, ‘বিনিদ্র রাতে’, ‘পোড়ামন’, ‘কৃষ্ণবিল’, ‘জন্ম-মৃত্যু’, ‘কুয়াশার জাল’, ‘লাল সূর্যমুখী’, ‘মাতাল হরিণ’, ‘যুগ্মতার ভাষা’, ‘স্বপ্নজাল’, ‘ধূসর বসন্ত’, ‘বনলতার মনফুল’ ইত্যাদি।
আতিকা রহমান ১৯৮৯ সালের ৪ আগস্ট নাটোরে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব-কৈশোর কেটেছে বনলতা সেনের শহর নাটোরে। অর্থনীতিতে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করা আতিকা বর্তমানে টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভির সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত। সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য পেয়েছেন একাধিক পুরস্কার।
সাহিত্যজগতে তার বিচরণ দীর্ঘদিনের। কবিতা ছাড়াও গল্প ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে লেখালেখি করেন। একজন শিশু অধিকারকর্মী হিসেবে নারী ও শিশু অধিকার, তৃতীয় লিঙ্গ, প্রতিবন্ধী ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করছেন। জনপ্রিয় শিশুতোষ অনুষ্ঠান ‘১২৩ সিসিমপুর’-এ লেখক হিসেবেও যুক্ত ছিলেন।
আবা/আরিফ/সজল