ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবৈধভাবে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণ করেছে। ওই হামলায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১১ সদস্য আহত হয়। পুলিশের ওপর হামলাকারীদের বিন্দুমাত্র ছাড়া দেওয়া হবে না। ওই ঘটনায় শনিবার ডিএমপির চার থানায় চারটি মামলা হয়েছে। জামায়েতের ২১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত সহস্রাধিক মামলা করা হয়েছে।
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, জামায়াতে ইসলামী পুলিশের কাছ থেকে গণমিছিলের অনুমতি নেয়নি। আমরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিয়েছি। যেহেতু তারা বিনা অনুমোদনে একটা মিছিল বের করেছে, পুলিশের ওপর হামলা করেছে। সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাসহ আরও পুলিশ সদস্যরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা-মোকদ্দমা করা হবে। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়ার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
বেআইনি কাজ করা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার বিষয়ে কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না উল্লেখ করে কমিশনার আরও বলেন, আমরা অতীত ইতিহাস থেকে দেখেছি বগুড়ায় চাঁদে সাঈদীকে দেখা গেছে বলে পুলিশ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে, গাইবান্ধায় দেখেছি ফাঁড়িতে আগুন দিয়ে পুলিশ সদস্যকে হত্যা করতে। তারা (জামায়াত ইসলামী) অতীতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আবারও গত শুক্রবারের ঘটনায় অতীত ইতিহাসের অপকর্মের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ কঠোর হাতে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। জামায়াতের অতীত ইতিহাস ফিরে আসুক এটা আমরা কোনোভাবেই মেনে নেব না। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ৩০ ডিসেম্বর গণমিছিলের অনুমতি চেয়ে জামায়াতের পক্ষ থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে অনলাইনে এবং প্রতিনিধি দলের মাধ্যমে সশরীরে আবেদন করা হয়। জামায়াতের ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণ শাখা পৃথক পৃথকভাবে গণমিছিলের আয়োজন করে। মহানগরী উত্তরের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ বিনা উসকানিতে বাধা দেয় এবং লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। হাজার হাজার মানুষের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বাধা দিয়ে পুলিশ বেআইনি কাজ করেছে।