ডিসিদের অবৈধ ইটভাঁটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান

প্রকাশ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০৭:৩৬ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন সংস্করণ

ইটভাঁটার জ্বালানি হিসেবে গাছপালা কেটে কাঠ পোড়ানো বন্ধ করাসহ অবৈধ ও পরিবেশ দূষণকারী ইটভাঁটাগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ সচিব ফারহিনা আহমেদ। 

তিনি বলেন, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ইটভাটায় কৃষিজমির মাটির ব্যবহার, কৃষিজমি বিনষ্টকরণ বন্ধ করতে হবে। দেশের পরিবেশ দূষণকারী ইটভাঁটার দূষণ নিয়ন্ত্রণ, অবৈধ ইটভাঁটা বন্ধকরণ এবং প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহার রোধে মঙ্গলবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকগণের সঙ্গে এক বিশেষ সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।


মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ) মিজানুর রহমান, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক আবদুল হামিদসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। দেশের ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসকগণ ও পরিবেশ অধিদফতরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। 


সভায় ইটভাঁটার দূষণজনিত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এবং অবৈধ ইটাভাঁটার বিরুদ্ধে গৃহীত ব্যবস্থাসহ সভার কার্যপত্র উপস্থাপন করেন মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ শাখার উপসচিব সৈয়দ শাহজাহান আহমেদ।


সভায় সচিব সরকার ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০২৫ সাল নাগাদ সব সরকারি কাজে ১০০ ভাগ পরিবেশবান্ধব ব্লক ইট ব্যবহার নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন। ইটাভাঁটাসহ বিভিন্ন প্রকার দূষণ রোধের লক্ষ্যে সব অংশীজনকে সংশ্লিষ্ট করতে জরুরিভিত্তিতে দেশের সব জেলায় অবহিতকরণ সভা আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।


সভায় সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগ উৎপাদন ও ব্যবহার এবং মোড়ক বাজারজাতকরণ বন্ধে পরিবেশ অধিদফতর এবং জেলা প্রশাসন পরিচালিত নিয়মিত এনফোর্সমেন্ট ও মোবাইল কোর্ট কার্যক্রম জোরদার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। কঠিন বর্জ্য সুব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২১ বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। 


এ ছাড়াও উপকূলীয় অঞ্চলের ১২ জেলার ৪০টি উপজেলায় সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে প্রণীত তিন বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা জরুরি ভিত্তিতে বাস্তবায়নের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

সভায় অবৈধ ইটভাঁটা ও প্লাস্টিক, পলিথিন বন্ধে কার্যকর উপায় গ্রহণ বিষয়ে উপস্থিত মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকগণ নিজ নিজ মতামত ব্যক্ত করেন। 


তারা এ সময় সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিমালা যুগোপযোগী করাসহ বিদ্যমান কিছু সমস্যা সমাধানের অনুরোধ জানান। ইটভাঁটার বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে সংশ্লিষ্ট বিধিবিধান প্রতিপালনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইটভাঁটা মালিক সমিতির সভাপতি খলিলুর রহমান।