ঢাকা ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শীতের দাপট থাকবে আরও এক সপ্তাহ

শীতের দাপট থাকবে আরও এক সপ্তাহ

শীতে কাঁপছে সারা দেশ। রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, নীলফামারী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী এক সপ্তাহজুড়ে শীতের এ দাপট চলতে পারে। পড়তে পারে ঘন কুয়াশা। কনকনে শীতের কারণে দেশের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। অতি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। বেড়েছে শীতের কাপড়ের চাহিদা। ফুটপাথসহ দোকান-শপিংমলে বেড়ে গেছে শীত বস্ত্রের বিক্রি।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আবহাওয়া অধিদফতর থেকে এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেওয়া ২৪ ঘণ্টার এই পূর্বাভাসে পরবর্তী দুদিনের আবহাওয়া সম্পর্কে বলা হয়েছে, তাপমাত্রা সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। আর এর পরবর্তী পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থা সম্পর্কে এতে বলা হয়েছে, রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে। অর্থাৎ আগামী শুক্রবার পর্যন্ত শীত আরও বাড়তে পারে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেওয়া এই পূর্বাভাসে কুয়াশা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এ ছাড়া শৈত্যপ্রবাহ সম্পর্কে বলা হয়েছে-রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, নীলফামারী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। দিন ও রাতে তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়ার কারণে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র শীতের অনুভূতি থাকতে পারে।

জানা গেছে, উত্তরের হিমেল হাওয়া ও কনকনে শীতের ঠান্ডায় কাঁপছে কুড়িগ্রাম। ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে চারদিক। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার পর সূর্যের দেখা মিললেও হিমেল হাওয়ায় বেড়েছে কনকনে ঠান্ডার মাত্রা। এ অবস্থায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল, খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবী মানুষজন। রেহাই পাচ্ছে না পশুপাখিরাও। গরম কাপড়ের অভাবে তীব্র শীত কষ্টে ভুগছেন নিম্নআয়ের মানুষ। অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।

জেলার রাজারহাটে অবস্থিত কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তুহিন মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় কুড়িগ্রাম জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আগামী কয়েক দিন এ তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

কনকনে ঠান্ডার কারণে জীবন-জীবিকার তাগিদে শীতকে উপেক্ষা করেই কাজে বের হতে হচ্ছে শ্রমজীবিদের। তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন জেলার নদ-নদী অববাহিকার সাড়ে চার শতাধিক চর ও দ্বীপ চরের মানুষ।

জেলা সদরের চরসিতাইঝাড় এলাকার মো. হযরত আলী বলেন, ঠ্যালাগাড়িতে বাঁশ নিয়ে হাটে যাচ্ছি। কিন্তু কনকনে ঠান্ডা ও শিরশির বাতাসের কারণে ঠ্যালাগাড়ি ঠেলে যাওয়া মুশকিল হয়ে পড়ছে। সদরের ধরলা পাড়ের বাসিন্দা নন্দলাল রবিদাস বলেন, ঠান্ডার কারণে দুদিন কাজে যাইনি। ঘরে খাবার নেই। তাই নিরুপায় হয়ে কাজে বের হয়েছি। গরম কাপড় নেই। কিন্তু ঠান্ডা উপেক্ষা করে কাজ না করলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ বলেন, ইতিমধ্যে ৩৮ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে নতুন করে ১ লাখ ১৪ হাজার কম্বল চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার কম্বল পাওয়া গেছে।

শীতকাল
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত