ঢাকা ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পৈতৃক জমি দেখতে আজ খুলনায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

পৈতৃক জমি দেখতে আজ খুলনায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

দিঘলিয়া উপজেলায় পৈতৃক জমি পরিদর্শনে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শুক্রবার দুপুরে তিনি ব্যক্তিগত সফরে জেলার দিঘলিয়া উপজেলায় আসবেন। প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচিতে যোগ দেবেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ও খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।

অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে খুলনা-৪ (দিঘলিয়া-তেরখাদা-রূপসা) আসনের সংসদ সদস্য আবদুস সালাম মূর্শেদী ও খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসীর আরেফীন দিঘলিয়া পরিদর্শনে যান। প্রধানমন্ত্রী শুক্র ও শনিবার দুই দিনের সফরে গোপালগঞ্জ আসছেন।

দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খান নজরুল ইসলাম বলেন, নগর ফেরিঘাটের উত্তর পাশে পাকা রাস্তার গা ঘেঁষেই প্রধানমন্ত্রীর পৈতৃক সম্পত্তি রয়েছে। এখানে একটি ফাঁকা গোডাউন রয়েছে। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী এখানে আসবেন। কিছু সময় থেকে চলে যাবেন। দলীয় কোনো কর্মসূচি না হওয়ায় আমরা কোনো ধরনের সংবর্ধনা বা সাক্ষাতের সুযোগ পাব না। তবে প্রধানমন্ত্রী দিঘলিয়া উপজেলায় তার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মাতা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার নামে যে জমি রয়েছে সেটা পরিদর্শন করবেন বলে জানা গেছে।

এলাকাবাসী জানান, পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধু তাঁর সহধর্মিণীর নামে দিঘলিয়া উপজেলার ভৈরব নদীর কোল ঘেঁষে নগরঘাট এলাকায় ৪ বিঘা জমিতে পাট গোডাউন ও আধা পাকা এক কক্ষবিশিষ্ট একটি ঘরসহ জমি ক্রয় করেন। দিঘলিয়া উপজেলার এই জমির কথা জানতেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০০৭ সালে শেখ হাসিনা তার ব্যক্তিগত আইনজীবীর মাধ্যমে জমির কথা জানতে পারেন। আরও জানা যায়, তৎকালীন সময়ে পাট গোডাউনটি দেখাশোনা করতেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ভাই শহিদ শেখ আবু নাসের। এক সময় তিনি এখানে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী এই সম্পত্তির মালিকানা প্রাপ্ত হন।

দিঘলিয়ার মৃত আবদুল কাইউমের ছেলে শেখ আবু বকর পরিবার-পরিজন নিয়ে প্রায় ২০ বছর এই জমিতে বসবাস ও দেখাশোনার কাজ করছেন। বর্তমানে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের মাধ্যমে জাহিদুল ইসলাম নামের জনৈক ব্যক্তি দেখাশোনা করছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্রয়কৃত সেই পুরোনো পাট গোডাউনটি ভেঙে একটি আধুনিক গুদামঘর নির্মাণ করা হয়েছে। নদী-তীরবর্তী স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে একটি রেস্ট হাউস। গোডাউন-সংলগ্ন পাকা রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে শেখ রাসেল সড়ক।

আরও জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর গোডাউনটি ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত আদমজী জুট মিলের গোডাউন হিসেবে ব্যবহার হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত