ঢাকা ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মেন্দির সঙ্গে ভিপি নুরের বৈঠক, তদন্ত দাবি সংসদে

মেন্দির সঙ্গে ভিপি নুরের বৈঠক, তদন্ত দাবি সংসদে

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান জাতীয় সংসদে বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর দুবাই গিয়ে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাদাফির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। নুরুর সঙ্গে মেন্দির একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। খবরও প্রকাশিত হয়েছে। ইসরায়েলের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। বিষয়টি তদন্ত করে জাতীয় সংসদে বিবৃতি দেয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে দাবি করেছেন তিনি।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) সংসদের বৈঠকে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে অনির্ধারিত আলোচনায় জাপার সংসদ সদস্য এসব কথা বলেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।

পীর ফজুলর রহমান বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায় দুবাইয়ে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদস্য মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে বৈঠক করেছে নতুন দল গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর। পত্রিকায়ও খবর প্রকাশ হয়েছে। সে ডাকসুর ভিপি ছিল। হাসিমুখে তার মোসাদ সদস্যের সঙ্গে ছবিও এসেছে। নুর বলেছিলেন এটি তার এডিট করা ছবি। পরে অভিজ্ঞ ফটোগ্রাফাদের দিয়ে সেটা দেখানো হয় তখন দেখা যায় সেটা এডিট করা নয়, অরিজিনাল ছবি। আবার এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখছি সে বলছে, আমি কথা বলেছি তাতে কী হয়েছে? আমি কী কারো সঙ্গে কথা বলতে পরি না? আমি কারো সঙ্গে বৈঠক করতে গেলে সরকারের অনুমতি নিতে হবে কেন? এটা পত্রিকায়ও হয় তো আসবে।

পীর ফজলু রহমান আরও বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে আমাদের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। আমরা এই সংসদে ফিলিস্তিনির নারী, শিশু হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছি। সে (নুর) কারো সঙ্গে বৈঠক করতেই পারে, সে সরকারকে পছন্দ না করতেই পারে। কিন্তু যে দেশের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, যে ইসরায়েল ফিলিস্তিনি মুসলিম নারী-শিশুদের হত্যা করছে, আমরা এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাচ্ছি, সেই দেশের গোয়েন্দা সদস্যের সঙ্গে বৈঠক আইনসম্মত নয়। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলব, এ বিষয়ে তদন্ত হওয়া দরকার। তদন্ত করে সংসদে ৩০০ বিধিতে আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করছি।

জাতীয় পার্টির আরেক সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, আর্থিক খাতের অনিয়মে কোনো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয় না। ১৫৮ কোটি টাকা নিয়ে দেশ ছেড়ে চলে যায়। আর সামান্য ঋণের জন্য কৃষকদের কোমরে দড়ি দিয়ে বেঁধে জেলখানায় নেয়া হয়। এটা সরকারকে ভাবতে হবে।

নূর
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত