ঢাকা ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ফারদিন হত্যা মামলায় ২মাস পর জামিনে মুক্ত বুশরা

ফারদিন হত্যা মামলায় ২মাস পর জামিনে মুক্ত বুশরা

বুয়েট ছাত্র ফারদিন নূর (পরশ) মৃত্যুর ঘটনায় করা হত্যা মামলার আসামি আয়াতুল্লাহ বুশরা টানা ২মাস কারাবাসের পর গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার কাশিমপুর মহিলা কারাগার-৩ থেকে তাকে মুক্তি দেয়া হলে দুপুর ২টা ১০ মিনিটে কারাগারের মূল ফটক ত্যাগ করেন বুশরা।

জানা যায়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলায় তার বান্ধবী ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী আমাতুল্লাহ বুশরাকে গ্রেফতার করা হয়। এর পর রোববার (৮ জানুয়ারি) ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতারের আদালত তার জামিন মঞ্জুর করে।

এর আগে বুয়েট ক্যাম্পাসে যাওয়ার কথা বলে গত ৪ নভেম্বর ঢাকার ডেমরার কোনাপাড়ার বাসা থেকে বের হন ফারদিন। ওই দিনই তিনি নিখোঁজ হন। ওই দিন ফারদিনের সঙ্গে ছিলেন আয়াতুল্লাহ বুশরা। পরের দিন ৫ নভেম্বর রামপুরা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বাবা কাজী নূরউদ্দিন। নিখোঁজের তিনদিন পর ৭ নভেম্বর বিকেলে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় মামলায় আসামি করা হলে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে ছিলেন বুশরা।

মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিন নূর পরশের মরদেহ উদ্ধার করে নৌপুলিশ। এ ঘটনায় তার বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরাসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে ঢাকার রামপুরা থানায় ফারদিনের বাবা নূরউদ্দিন রানা বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলার পর ওই বছরের ১০ নভেম্বর রাজধানীর রামপুরা এলাকার একটি বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে ফারদিন হত্যাকান্ডের ঘটনায় করা মামলাটি তদন্তাধীন আছে। আগামী ১৫ জানুয়ারি এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার সিনিয়র জেল সুপার (ভারপ্রাপ্ত) মো: ওবায়দুল রহমান বুশরার মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সোমবার রাতে বুশরার জামিনের কাগজপত্র কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছালে তা যাচাই-বাছাই শেষে তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। বুশরাকে নিতে তার বাবা কারাগারে এসেছিলেন। কারাগার থেকে মুক্তির পর বের হয়ে একটি অটোরিকশায় যোগে চলে যান বুশরা। বুশরার বাবা মনজুরুল ইসলামের কাছে তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হলে তার সাথেই কারা কমপ্লেক্স ত্যাগ করেছেন।

বুশরার আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান চুন্নু জানান, গত ৫ জানুয়ারি দুপুরে বুশরার পক্ষে জামিন শুনানি হয়। আদালত শুনানি শেষে আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন। ওইদিন জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মোখলেসুর রহমান বাদল ও আব্দুর রহমান হাওলাদারসহ ১২জন আইনজীবী। পরে সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসীন ইফতেখার তার জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে তাকে গ্রেপ্তারের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৬ নভেম্বর তাকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।

বুয়েট,হত্যা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত