যুক্তরাষ্ট্র র‌্যাবের কার্যক্রমে খুশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৩, ১৭:১৩ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন সংস্করণ

আগামী দিনগুলোতে সম্পর্ক আরও অর্থবহ করার বিষয়ে আলোচনা করেছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। এক্ষেত্রে উভয়পক্ষ ঐক্যমতে পৌঁছেছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এ ছাড়া, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধে র‌্যাবের কার্যক্রম প্রভৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র খুশি বলেও জানিয়েছেন তিনি।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মোমেন-লু ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে যৌথ ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব তথ্য জানান।

আলোচনার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমার সঙ্গে ওনার (লু’র) দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। আমরা বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছি। আলোচনা খুব কনস্ট্রাকটিভ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের পুরনো বন্ধু। কীভাবে সামনের ৫০ বছর সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের মধ্যে যদি কোনও কিছু নিয়ে সমস্যা থাকে, তবে আমরা আলোচনা করব। যদি গঠনমূলক পরামর্শ আসে, আমরা অবশ্যই তা গ্রহণ করব। এর নমুনা আমরা দেখিয়েছি। আমাদের যদি কোনও দুর্বলতা থাকে, তা আমরা দূর করব।

তিনি বলেন, কীভাবে আমাদের এ সম্পর্ককে আরও অর্থবহ করা যায়, আরও ভালো করতে পারি; সেটা নিয়ে আলোচনা করেছি। মোটামুটি আমরা ঐক্যমতে আছি। আমরা ভবিষ্যতে ভালো দিনের অপেক্ষায় রয়েছি।

মোমেন বলেন, আমাদের যে যোগাযোগ এটা খুব কাজের। এর ফলে আমাদের মধ্যে যদি কোনও ধরনের প্রশ্ন থাকে, সেগুলো আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে পারব। আর আমরা ভালো পরামর্শ পেলে অবশ্যই গ্রহণ করব। তার নমুনাও দেখিয়েছি। আমাদের কোথাও যদি দুর্বলতা থাকে আমরা ওটা নিয়ে কাজ করব।

আব্দুল মোমেন বলেন, আমরাও অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই। আমার দল আওয়ামী লীগ সব সময় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতায় এসেছে। ব্যালটের মাধ্যমে এসেছে, বুলেটের মাধ্যমে নয়। আমাদের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে।

আগামী ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্র সফর করার জন্য লু’র পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘আমাদের মধ্যে বেশ কয়েকটি বৈঠক হয়েছে। আমি নিজে খোলামেলা আলোচনা করেছি। বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শ্রম পরিস্থিতি, নিষেধাজ্ঞা, মানবাধিকার, গণতন্ত্র, উন্নয়ন, সহযোগিতা, ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে আমাদের চিন্তাভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘গত বছরের মতো এবারও আমাদের মধ্যে ঐকমত্য হয়েছে, আমরা একটি সময়সূচি ধরে চলমান মেকানিজমের মাধ্যমে লক্ষ্য অর্জনের জন্য সম্পর্ককে পরের ধাপে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করব। আমাদের যে সম্পদ ও প্রক্রিয়া আছে, সেগুলো ব্যবহার করে সম্পর্ককে পরের ধাপে উন্নতি করব।’

প্রসঙ্গত, দুদিনের সফরে বর্তমানে ঢাকা অবস্থান করছেন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। সফরের দ্বিতীয় দিনে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে তারা গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন।