কক্সবাজারের মাদক কারবারিদের নিয়ে সদ্য প্রকাশিত তালিকা যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ২৬তম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিভিন্ন সেক্টর হতে আমরা অনেক ইনফরমেশন পায়। তা যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেয়া হয়। যে তালিকা এখন পাওয়া গেছে তা নিয়েও যাচাই-বাছাই চলছে। কেউ তালিকায় নাম এলো বলে দোষী হয়ে যায়নি। সকল বিষয় তদন্ত করে চুড়ান্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রবিবার (১৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠক শুরু হয়। বেলা পৌনে ১২টার দিকে বৈঠক থেকে বের হন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বৈঠকে বিগত ২৫তম সবার কার্যবিবরণী নিশ্চিতকরণ; সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদক চোরাচালান রোধকল্পে বিস্তারিত আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সেন্টমার্টিন দ্বীপসহ এ অঞ্চলের সীমান্ত এলাকায় বিজিবি এবং কোস্ট গার্ডের কার্যক্রমের উপর বিস্তারিত আলোচনাসহ বিবিধ বিষয় এজেন্ডায় রাখা হয়।
এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমি এ কমিটির একজন সদস্য মাত্র। বৈঠকের সিদ্ধান্ত সমূহ কমিটির সভাপতি মহোদয় উপস্থাপন করবেন। বৈঠক এখনো চলমান।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজির আহমদ এমপির সভাপতিত্বে চলমান বৈঠকে কমিটির সদস্য সংসদ সদস্য মো. আফছারুল আমীন, মো. হাবিবর রহমান, সামছুল আলম দুদু, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পীর ফজলুর রহমান, নূর মোহাম্মদ, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ ও বেগম রুমানা আলী, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানসহ শৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন বিভাগের প্রধান ও প্রতিনিধিগণ অংশ নিয়েছেন।
সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টরা সভাস্থলে আসেন।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে কক্সবাজার আসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শনিবার দুপুরে তিনি শাহপরীরদ্বীপ সংলগ্ন সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। একইদিন (শুক্রবার) বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিজিবি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্যরা ৩৪ বিজিবির অধীনস্থ বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্তের ফ্রেন্ডশিপ লালব্রীজ এলাকা পরিদর্শন করেন। পৃথক পরিদর্শন শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় রবিবার। বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় কক্সবাজার ত্যাগ করেন কমিটির সদস্যরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. আবু সুফিয়ান।