বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে । শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) বাদ ফজর পাকিস্তানের মাওলানা ওসমানের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার এই পর্বের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। বিদেশি মেহমান ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মুসল্লিরা এই পর্বে অংশ নিয়েছেন।
দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমায় জুমার নামাজে অংশ নিতে সকাল থেকেই মুসল্লিরা আসতে শুরু করেছেন। গতরাতেই অনেকে ইজতেমা ময়দানে আসেন। আর যারা আসেননি তারা ভোর থেকেই টঙ্গীতে আসছেন। গত প্রথম পর্বের জুমার দিনের তুলনায় এই পর্বে মানুষের সংখ্যা তুলনামূলক কম দেখা গেছে।
ভোর থেকেই ইজতেমা ময়দানে চলছে ধর্মীয় বয়ান। ময়দানের মূল বয়ান মঞ্চ থেকে জ্যেষ্ঠ মুরুব্বিরা আগত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ভাষায় আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের নির্দেশিত ইসলামী বিধানের ওপর দিক নির্দেশনামূলক গুরুত্বপূর্ণ বয়ান করছেন।
আগত মুসল্লিরা ৮৫টি খিত্তায় অবস্থান করে ভোর থেকেই বয়ান শুনছেন। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বিদেশ থেকে আগত মুসল্লিরাও। ইসলামের বিধান, ঈমান, আহকাম, দাওয়াত বিষয়ে শিক্ষা লাভ করতে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে চলছে বয়ান।
দুপুরে মাওলানা সাদ কান্দলভির জামাতা ইউসুফ বিন সাদ কান্দলভির ইমামতিতে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
জুমার নামাজে বাড়তি মুসল্লিদের কথা মাথায় রেখে আলাদা ট্রাফিক পরিকল্পনা নিয়েছে পুলিশ। এজন্য ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভোগড়া বাইপাস সড়ক থেকে আব্দুল্লাহপুর ও কামারপাড়া সড়ক হয়ে মীরের বাজার সড়ক পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রাক, লরি ডাইভারশন করা হয়েছে। এগুলো ইজতেমাস্থল পরিহার করে বিকল্প সড়কে চলাচল করবে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (ট্রাফিক) অশোক কুমার পাল। এছাড়া নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়ের লক্ষ্যে গৃহীত নানা ব্যবস্থা জোরদার করার কথা বলছে প্রশাসন।
মুসল্লিদের সুবিধার্থে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর।
নির্বাহী প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন মিয়া বলেন, মুসল্লিদের ওযু, গোসলের সুবিধার্থে ১৬ টি গভীর নলকূপের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া ৩১টি টয়লেট বিল্ডিয়ের মাধ্যমে বাথরুম সুবিধা দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, মুসল্লিদের কোনো সমস্যা হবে না।