আজ বিশ্ব ক্যান্সার দিবস 

প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:৫১ | অনলাইন সংস্করণ

বিশ্ব ক্যান্সার দিবস আজ। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো প্রতি বছর বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হয়। ক্যান্সার একটি মারাত্মক ও ভীতিকর রোগ। শরীরের যে কোনো অঙ্গেই এ রোগ হতে পারে। সারা বিশ্বে মানুষের মৃত্যুর একটি অন্যতম কারণ ক্যান্সার। দিবসটি উপলক্ষে এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘আসুন ক্যান্সার সেবায় বৈষম্য দূর করি’।

যেসব কারণে ক্যান্সার হয় তার ঝুঁকিগুলোর মধ্যে ধূমপান, পান-জর্দা-তামাকপাতা খাওয়া, সবজি, ফলমূল ও আঁশযুক্ত খাবার কম খাওয়া, শারীরিক ব্যায়াম না করা, শারীরিক স্থূলতা বা বেশি ওজন, আলট্রাভায়োলেট রশ্মি, এক্স-রে রেডিয়েশন, কিছু রাসায়নিক পদার্থ, কিছু ভাইরাস বা অন্যান্য জীবাণু অন্যতম।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, বিশ্বে প্রতিবছর ৮২ লাখ মানুষ ক্যান্সারে মৃত্যুবরণ করে। বিশেষ করে সাড়ে ১০ কোটি নারী ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। আশঙ্কাজনক খবর হলো, দ্বিতীয় এ মরণব্যাধিতে আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই হচ্ছে বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের নাগরিক।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্যান্সার একটি বড় রোগ, যার সময়মতো চিকিৎসা প্রয়োজন। প্রতিবছর বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে বিপুল সংখ্যক মানুষ এই মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারায়। একইসঙ্গে বাংলাদেশে ক্যান্সার ও এ রোগে মৃত্যুর হার বৃদ্ধির কারণ হিসেবে সচেতনতা ও শিক্ষার অভাব এবং অর্থনৈতিক অবস্থাকে বিবেচনা করেন তারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, পরিস্থিতির উন্নতির জন্য মনিটরিং জোরদার দরকার। দেখতে হবে বেশির ভাগ ক্যান্সার সেন্টারে মেশিন নষ্ট কেন? মেরামতের লোক নেই কেন? বাজেট অনুযায়ী সেবা দেওয়া হচ্ছে কি? লোকবল কত দরকার এবং এখন কত আছে?

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, অসংক্রামক রোগের মধ্যে ক্যান্সার ভয়ানকতম সমস্যা। নিম্নবিত্তদের মধ্যে যারা ক্যান্সারে আক্রান্ত তারা অপারেশন করাতে পারে না, কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি নিতে পারে না। কারণ এতে অনেক বেশি অর্থের প্রয়োজন হয়।

‘এজন্য আমাদের জাতীয় কর্মকৌশল দরকার। যাদের টাকা নেই, তারাও যেন সুচিকিৎসা পায়। কারণ, এটি সংবিধান স্বীকৃত অধিকার। সুতরাং আমাদের উচিত হলো জাতীয় কর্মকৌশল প্রণয়ন করা।’

তিনি বলেন, জাতীয় পরিকল্পনা থাকলে সেখানে ক্যান্সার প্রতিরোধ, আক্রান্তদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা, তাদের জন্য অর্থ বরাদ্দ রাখা, যন্ত্রগুলো ঠিক রাখা—সব কিছু থাকত। এখন মানুষ স্বল্পমূল্যে যে চিকিৎসা পাওয়ার কথা, তা পাচ্ছে না। বেসরকারি হাসপাতালগুলো চিকিৎসা দিলেও ব্যয় অনেক। এ থেকে উত্তরণের একটা বড় পথ হলো ক্যান্সার রোগীদের বীমার ব্যবস্থা এবং কর্মকৌশল ঠিক করা।