অনলাইন সংস্করণ
১৮:০৮, ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
কর ফাঁকির বিষয়ে কঠোর হওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা কর ফাঁকি দেন, বা দেয়ার চিন্তা করেন তারা সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন। কর দেয়ার পদ্ধতি ডিজিটাল হয়ে গেলে সেটা আর পারবেন না।
প্রধানমন্ত্রী জানান, কর আদায়ে ডিজিটাল ব্যবস্থা প্রণয়ন করলে কর ফাঁকি দেয়ার প্রবণতা কমে আসবে। হয়রানি কমিয়ে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে করদাতার সংখ্যা বাড়াতে তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।
রোববার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুই দিনব্যাপী রাজস্ব সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, শুধু সাধারণ মানুষ বা ব্যবসায়ী না, প্রধানমন্ত্রীকেও কর দিতে হবে, সংসদ সদস্যদের কর দিতে হবে। নিজেরা আগে কর দিলে তবেই সবাই কর দিতে উৎসাহিত হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, মানুষকে জানাতে হবে, বুঝাতে হবে যে আপনি যে কর দেন তা আপনার কাজেই লাগে। আজকে দেশের যে উন্নয়ন তার সবই হয়েছে করের টাকায়। তাই যারা এই সুফলটা ভোগ করছেন তাদের তো কিছু না কিছু দিতে হবে। রাষ্ট্র তো আর সব নিজ থেকে দিতে পারবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করের হার নয়, করদাতার সংখ্যা বাড়াতে চায় বর্তমান সরকার। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। যার হাওয়া আমাদের দেশেও লেগেছে। এজন্য করহার না বাড়িয়ে করদাতার সংখ্যা বাড়াতে হবে। এতে অর্থনৈতিক চাপ কমবে।
তিনি বলেন, এখন মানুষের হাতে টাকা বেড়েছে। ফলে উপজেলা বা ইউনিয়ন পর্যায়ে করদাতা মানুষ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই প্রচার বাড়াতে হবে, মানুষকে সচেতন করতে হবে যে, আপনি যে সেবাটা ভোগ করছেন তা আপনাদের টাকায়। সঠিক সময়ে সঠিক পরিমাণে কর দিলে সামনে সেবা আরও ভালো পাবেন।
ঘরে বসে করদাতাদের কর দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ায় রাজস্ব বোর্ডকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটার আরও ব্যাপক প্রচার দরকার। তাহলে রাজস্ব আহরণে খুব বেশি অসুবিধা হবে না। অনেকেই যেতে হবে, দিতে হবে- এই ঝামেলাটা নিতে চান না।
শেখ হাসিনা বলেন, এখন যেহেতু মূল্যস্ফীতি বেশি, প্রত্যেক মানুষের উপর অতিরিক্ত চাপ। এক্ষেত্রে করহার বৃদ্ধি না করে করহার যৌক্তিক করতে হবে। করজাল বাড়াতে হবে, ই-টিআইএন গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
এর আগে শেখ হাসিনা রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নতুন ভবন ‘রাজস্ব ভবন’ এর উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবু হেনা রহমাতুল মুনিম।
