শূন্যপদ পূরণে বছরে দুটি নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা হবে: ফরিদ আহাম্মদ

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ জানিয়েছেন, শিক্ষকদের শূন্যপদ পূরণে প্রতিবছর অন্তত দুটি করে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়। এতে সময়ক্ষেপণ হয় তাই আমরা বিভাগওয়ারী ক্লাস্টার পদ্ধতিতে আগাচ্ছি।

ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ক্লাস্টার পদ্ধতিতে ছয় মাসের মধ্যে নিয়োগ দেয়া সম্ভব হবে। আমাদের প্ল্যান নিয়ে বুয়েটের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। একসাথে একটি বা দুইটি বিভাগ ক্লাস্টার করলে বুয়েট ছয় মাসের মধ্যে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবে। যে বিভাগে শূন্যপদ বেশি থাকবে সে বিভাগে আগে ক্লাস্টার করা হবে এবং সেই বিভাগের প্রার্থীদের আগে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের ২৮ তারিখের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। তবে এবারের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। সারাদেশে একযোগে নিয়োগ পরীক্ষার পরিবর্তে আট বিভাগকে চার ভাগে বিভক্ত করে আলাদাভাবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

সচিব বলেন, প্রতিনিয়ত শিক্ষক পদ শূন্য হচ্ছে। শূন্যপদ পূরণে প্রতিবছর অন্তত দুটি করে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। একসঙ্গে অনেক শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে না। বিভাগভিত্তিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পরীক্ষা নেয়া হবে। যেসব বিভাগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে, তাতে শুধু সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২৮ ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, মার্চের দিকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার কথা থাকলেও তা এগিয়ে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমাদের সব কাজ মোটামুটি প্রস্তুত হয়ে গেছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সাথে এ বিষয়ে কথাও হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসের ২৮ তারিখেই বিজ্ঞপ্তি দিতে পারবো।