দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ এখন রোল মডেল: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২৩, ১০:২২ | অনলাইন সংস্করণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ এখন রোল মডেল।  শুক্রবার (১০ মার্চ) জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় দেশব্যাপী ১০ মার্চ জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উদযাপন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশের প্রত্যয়, দুর্যোগ প্রস্তুতি সবসময়’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বর্তমান সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে দুর্যোগ সহনশীল, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে সমর্থ হব।

তিনি বলেন, দুর্যোগে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে দেশের ঘূর্ণিঝড় প্রবণ উপকূলীয় এলকায় বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র এবং বন্যাপ্রবণ ও নদীভাঙ্গন এলাকায় টেকসই ও আধুনিক বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার ও মেরামত এবং সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ক্রমবর্ধমান হারে গৃহীত প্রকল্প, গ্রামীণ রাস্তায় ১৫ মিটার দৈর্ঘ্য পর্যন্ত সেতু-কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্প, ভূমিকম্প ও অন্যান্য দুর্যোগ উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, বজ্রপাত নিরোধক কর্মসূচি, গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ কর্মসূচি ইত্যাদি সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচিতে (সিপিপি) নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করেছি। ফলে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ব্যবস্থাপনায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। এ কারণে জেন্ডার রেসপনসিভ ক্যাটাগরিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্মানসূচক জাতিসংঘ জনসেবা পদক-২০২১ অর্জন করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, দুর্যোগের আগাম সতর্কবার্তা ও দৈনন্দিন আবহাওয়া বার্তা জানতে মোবাইলে ১০৯০ (টোল ফ্রি) আইভিআর পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। ফলে ঘূর্ণিঝড় বন্যা, বজ্রপাত, শৈত্যপ্রবাহ ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগে পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণপূর্বক জনগণকে সুরক্ষিত করে সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে সক্ষমতা অর্জিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতেও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।