আজ উদ্বোধন হবে বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন   

প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৩, ১২:১৭ | অনলাইন সংস্করণ

আজ (শনিবার) ভার্চিুয়ালি ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ‘ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন’ দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসবে ডিজেল। শুক্রবার (১৭ মার্চ) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠানটির জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দিনাজপুরের পার্বতীপুরে স্থাপিত ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল পাঠানোর কার্যক্রম উদ্বোধনের পর শনিবার থেকেই ভারত থেকে বাংলাদেশে জ্বালানি তেল আসা শুরু হবে।

ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন দুই দেশের মধ্যে প্রথম আন্তঃসীমান্ত জ্বালানি তেলের পাইপলাইনটি নির্মাণের আনুমানিক খরচ ৩৭৭ কোটি রুপি। বাংলাদেশ অংশে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২৮৫ কোটি রুপি। ভারত সরকার থেকে এ আর্থিক সহায়তা বহন করা হয়েছে। পাইপলাইনটি ভারতের অভ্যন্তরে ৫ কিলোমিটার ও বাংলাদেশ অংশে ১২৫ কিলোমিটার বিস্তৃত।

পাইপলাইনটি বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের সাতটি জেলায় প্রাথমিকভাবে উচ্চ গতির ডিজেল সরবরাহ করবে। ১০ ইঞ্চি ব্যাসের এই পাইপ দিয়ে প্রাথমিক অবস্থায় বছরে ১ মিলিয়ন টন তেল পাওয়া যাবে। যেখানে পরবর্তীকালে ১০ লাখ মেট্রিক টন ডিজেল পরিবহন করা সম্ভব হবে।

বিপিসির চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ জানিয়েছেন, চলতি মাসের ১৮ তারিখ ভারত থেকে ডিজেল আসা শুরু হচ্ছে। প্রথম দিকে এক হাজার টন করে ডিজেল আমদানি করা হলেও ধীরে ধীরে পরিমাণ বাড়ানো হবে। উদ্বোধনের এক সপ্তাহ আগে থেকে পরীক্ষামূলকভাবে পাইপলাইনে ডিজেল আসা শুরু হবে।

তিনি বলেন, পার্বতীপুরের পুরনো ডিপোতে যথেষ্ট জায়গা থাকায় সেখানেই আমদানি করা ডিজেল সংরক্ষণ করা হবে। পার্বতীপুর ডিপোর সক্ষমতা রয়েছে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টন। নতুন ডিপোর কাজ চলমান।

ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের কার্যক্রম ভারত থেকে বাংলাদেশে হাই-স্পিড ডিজেল পরিবহন টেকসই, নির্ভরযোগ্য, সাশ্রয়ী ও পরিবেশ-বান্ধব করবে এবং এর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি নিরাপত্তায় সহযোগিতা আরও বাড়বে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।