প্রথম দিনে ৯০ লাখ লিটার তেল এলো পাইপলাইনে  

প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৩, ২৩:৪৪ | অনলাইন সংস্করণ

বাংলাদেশে জ্বালানি তেল (ডিজেল) আমদানি শুরু হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ ফেন্ডশিপ পাইপলাইনে। উদ্বোধনের প্রথম দিনে প্রায় ৯০ লাখ লিটার ডিজেল সরবরাহ করা হয়। এই পাইপলাইন চালুর ফলে অল্প সময়ে এবং স্বল্প ব্যয়ে নিরাপদে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় ডিজেল সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

শনিবার (১৮ মার্চ) বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলায় স্থাপিত ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনে ডিজেল সরবরাহ উদ্বোধন করেন। এতদিন ভারত থেকে রেল ট্যাংকারে এ ডিজেল আমদানি করা হতো।

জানা গেছে, ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নুমালীগড় রিফাইনারি লিমিটেডের শিলিগুড়িস্থ মার্কেটিং রেল টার্মিনাল থেকে বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার বাংলাবান্দা সীমান্ত দিয়ে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) রেলহেড অয়েল ডিপো পর্যন্ত ১৩১.৫৭ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ভারতীয় অংশে পাঁচ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশ অংশে ১২৬.৫৭ কিলোমিটার পড়েছে। পার্বতীপুরে স্থাপিত রিসিপ্ট টার্মিনালের কন্ট্রোল রুমটি অত্যাধুনিক, কম্পিউটারাইজ ও অটোমেটেড যা হেড অফিসের সঙ্গে সংযুক্ত। অফিসে বসেই মোবাইলে পাইপলাইনে তেলের পরিস্থিতি দেখা যাবে। মাঠ পর্যায়ে পাইপলাইনের কেউ ক্ষতির চেষ্টা করলে, তা কন্ট্রোল রুমে ধরা পড়বে। পাইপলাইনের নিরাপত্তায় ১২৬.৫৭ কিলোমিটার বাংলাদেশ অংশে পাঁচটি এসভি স্টেশন (সেকশনালাইজিং ভালভ) স্থাপন করা হয়েছে। ৩০ কিলোমিটার পরপর একটি এসভি স্টেশন রয়েছে। তবে রিসিভ টার্মিনালে এখনও অনেক কাজ বাকি রয়েছে।

এদিকে, সাড়ে ২৮ হাজার টন ধারণ ক্ষমতার ছয়টি ফুয়েল ট্যাংক, অগ্নিনির্বাপণ কাজের জন্য তিন হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতার দুটি ওয়াটার ট্যাংক, অগ্নিনির্বাপক ফোম রাখার জন্য ২ হাজার ৫০০ লিটার ধারণ ক্ষমতার দুটি ওয়াটার ট্যাংক ও অটোমেশন সিস্টেম স্থাপনসহ অন্যান্য কাজ চলমান রয়েছে। ফুয়েল ট্যাংক নির্মাণ কাজ চলমান থাকায় আপাতত রেলহেড অয়েল ডিপোর ট্যাংকার ব্যবহার করা হচ্ছে। বর্তমান প্রক্রিয়ায় বিদেশ থেকে জ্বালানী তেল আমদানি করে পার্বতীপুরে নিয়ে আসতে সময় লাগে প্রায় একমাস। এ পাইপলাইনে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভারত থেকে পার্বতীপুর ডিপোতে জ্বালানি তেল চলে আসবে। পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল আমদানির ক্ষেত্রে বর্তমান দর বিবেচনায় ব্যারেল প্রতি প্রায় ছয় ডলার সাশ্রয় হবে। এতে একদিকে সময় লাগবে কম, অপরদিকে পরিবহন ব্যয় ও সিস্টেমলস অনেক কমে যাবে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দাবি করেন।