ফুলেল শ্রদ্ধায় স্বাধীনতার বীর শহীদদের স্বরণ

প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২৩, ১৭:১৮ | অনলাইন সংস্করণ

  জাহিন রিয়াজ, সাভার প্রতিনিধি

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষ আসেন সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে। স্বাধীনতার উচ্ছ্বাসে উদ্বেলিত জনতা শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করেন স্বাধীনতার মহানায়কদের। বেলা বাড়ার সাথে সাথে শ্রদ্ধাঞ্জলির ফুলে ফুলে ভরে যায় সৌধের শহীদ বেদি। তবে গত কয়েকবারের তুলনায় এবার জাতীয় স্মৃতিসৌধে উপস্থিত কিছুটা কম দেখা গেছে।

রোববার ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসে ভোর ৫টা ৫৬ মিনিটে সর্বপ্রথম রাষ্ট্রপতি মো.আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় শহীদদের স্মৃতির স্মরণে কিছুক্ষণ নিরবতা পালন করেন তারা। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, জাতীয় সংসদ উপনেতা ও সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শাজাহান খানসহ সিনিয়র নেতারা এসময় উপস্থিত ছিলেন। এরপর একে একে জাতীয় সংসদের স্পিকার, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী, মন্ত্রীপরিষদ সচিব, তিন বাহিনী প্রধান,  মুক্তিযোদ্ধাসহ বিদেশি কূটনীতিক এবং উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জাতির সূর্য সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এর পরই সর্বস্তরের মানুষের জন্য খুলে দেয়া হয় স্মৃতিসৌধ এলাকা। একে একে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবি সংগঠন, বিভিন্ন সরকার-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, সাধারণ মানুষ জাতীয় স্মৃতিসৌধে সূর্য সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বেলা ১০টার দিকে দেখা গেছে, ফুলের ডালা নিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে সাধারণ মানুষ দলে দলে স্মৃতিসৌধে আসছেন।

সকল বয়সী মানুষের আগমণে মুখর হয়ে ওঠে সৌধ প্রাঙ্গণ। বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাধারণ মানুষ। তাদের ফুলেল শ্রদ্ধায় ভরে ওঠে শহীদ বেদি। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে যুদ্ধাহত অনেক মুক্তিযোদ্ধাও আসেন শ্রদ্ধা জানাতে। অনেকের হাতে শোভা পায় লাল-সবুজের বিজয় পতাকা। তবে ধীরে ধীরে ফাঁকা হতে শুরু করে স্মৃতিসৌধ এলাকা।

জাতীয় স্মৃতিসৌধের দায়িত্বপালনকারী গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, সর্বসাধারণের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করার পর ফুল নিয়ে মানুষ সৌধ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে থাকে। গত কয়েকবারের তুলনায় এবার লোকসমাগম ছিল কিছুটা কম।