ঈদযাত্রায় ৩৪১ দুর্ঘটনায় নিহত ৩৫৫

প্রকাশ : ০২ মে ২০২৩, ১২:১০ | অনলাইন সংস্করণ

দেশের সড়ক মহাসড়কে পবিত্র ঈদুল ফিতরে যাতায়াতে ৩০৪ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত ও ৫৬৫ জন আহত হয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌ পথে সম্মিলিতভাবে ৩৪১টি দুর্ঘটনায় ৩৫৫ জন নিহত ও ৬২০ জন আহত হয়েছে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

মঙ্গলবার (২ মে) সকালে নগরীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিশুকল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই তথ্য তুলে ধরেন। সংগঠনটির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল প্রতি বছরের ন্যায় এবারো প্রতিবেদনটি তৈরি করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এবারের ঈদে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও পরিবহন ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়া, অতিরিক্ত গরমসহ নানা কারণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩০ শতাংশ মানুষের কম যাতায়াত হয়েছে। বর্তমান সরকারের বিগত ১৪ বছরে ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে দেশের সড়ক মহাসড়কের অবস্থা আগের তুলনায় অনেক ভালো ছিল। এটি ঈদের ছুটি ১ দিন বাড়ানোর সুফল। দেশের সবকটি সড়ক পাশাপাশি পদ্মাসেতুতে মোটরসাইকেলের অবাধ চলাচলের কারণে মোট যাত্রীর ১৮ দশমিক ২ শতাংশ মোটরসাইকেলে যাতায়াতে সরকারের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারীর কারণে এবারের যাত্রা খানিকটা স্বস্তিদায়ক হয়েছে। এ কারণে ভোগান্তি কমার পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনা ১৮ দশমিক ২ শতাংশ, প্রাণহানী ২১ দশমিক ১ শতাংশ কমেছে।

ঈদযাত্রা শুরুর দিন ১৫ এপ্রিল থেকে দিন শেষে কর্মস্থলে ফেরা ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত বিগত ১৫ দিনে ৩০৬ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ নিহত হয়েছে। বিগত ২০২২ সালের ঈদুল ফিতরে যাতায়াতের সাথে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ১৮ দশমিক ২ শতাংশ, প্রাণহানী ২১ দশমিক ১ শতাংশ, আহত ৩০ শতাংশ কমেছে। উল্লেখিত সময়ে রেলপথে ২৭টি ঘটনায় ২ নিহত ও ৫৫ জন আহত হয়েছে। নৌ-পথে ১০টি দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত ও ২২ জন নিখোঁজ রয়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, বরাবরের মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এবারের ঈদে ১৬৫টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৭ জন নিহত, ১২০ জন আহত হয়েছে। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৫৪ দশমিক ৩ শতাংশ, নিহতের ৫১ শতাংশ এবং আহত ২১ শতাংশ। এই সময় সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ৮৮ জন চালক, ১৬ জন পরিবহন শ্রমিক, ৪২ জন পথচারী, ৪৮০ জন শিশু ১৭ জন শিক্ষার্থী, ১ জন সাংবাদিক, ৫ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ৪ জন শিক্ষক, ৫ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, ৩২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা, ০৬ জন চিকিৎসকের পরিচয় মিলেছে।