ঢাকা ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাজ্য

বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাজ্য

আগামীতে বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাজ্য, এ চাওয়ার কথা জানান দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি। জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকারও সুন্দর ও সুষ্ঠু ভোট চায়। এ ব্যাপারে তিনি সবার সহযোগিতাও চান।

শনিবার (৬ মে) বিকেলে লন্ডনের ক্ল্যারিজ হোটেলে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. এ কে আব্দুল মোমেন এসব কথা জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরাই বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বলিষ্ঠ একটা অবস্থা তৈরি করেছি। আমাদেরও প্রতিশ্রুতি আমরা একটা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন সবাইকে সঙ্গে নিয়েই করতে হবে। সেক্ষেত্রে অন্যরা যদি আমাদের সহযোগিতা করে তাহলে ভালো হয়।

বাংলাদেশের নির্বাচনি ব্যবস্থায় আওয়ামী লীগের অবদানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন স্বচ্ছ, সুন্দর করার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার যা যা করার তাই করেছে।

ব্রিটেনের গণতান্ত্রিক পদ্ধতির প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ওয়েস্টমিনিস্টারে যে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি সেটাতে আমরা বিশ্বাস করি। ওয়েস্টমিনিস্টারের মতোই আমিও আমার দেশে প্রধানমন্ত্রীর একটি প্রশ্নোত্তর পর্ব চালু করেছি। বৃটিশ এ সিস্টেম অনুসরণ করে বাংলাদেশে প্রতি বুধবার সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর চালু করেছি।

রাজা তৃতীয় চার্লসের সিংহাসন আরোহন অনুষ্ঠানে যোগদান করায় বৃটিশ সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দেন বৃটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি।

বৃটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন জেমস ক্লেভারলি।

যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশীদের প্রশংসা করে বৃটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অনেক মানুষ এদেশে থাকেন। এরা অত্যন্ত ভালো কাজ করছে।

দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক প্রসঙ্গে জেমস ক্লেভারলি বলেন, বাংলাদেশ এবং বৃটিশের মধ্যে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। ব্যবসা, বাণিজ্য সব দিক থেকে আমাদের সম্পর্ক উত্তর উত্তর বাড়ছে। গত কয়েক বছরে সেই সম্পর্ক অত্যন্ত শক্তিশালী হয়েছে।

সাক্ষাতে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন ছাড়াও দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, রোহিঙ্গা ইস্যুসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

যুক্তরাজ্য,নির্বাচন
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত