ঢাকা ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

১৫ দিনের সফর শেষ দেশের পথে প্রধানমন্ত্রী

১৫ দিনের সফর শেষ দেশের পথে প্রধানমন্ত্রী

জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৫ দিনের সফর শেষে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে সফরসঙ্গীদের নিয়ে হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি বিশেষ ভিভিআইপি ফ্লাইটে রওনা হয়েছেন তিনি। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম।

মঙ্গলবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ ভিভিআইপি ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।

ত্রিদেশীয় সফরে গত ২৫ এপ্রিল সকাল ৭টা ৫৬ মিনিটের দিকে জাপানের টোকিওর উদ্দেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী। ওইদিন মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা ছাড়াও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান।

পরে একই দিন টোকিওর স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ চার্টার্ড ভিভিআইপি ফ্লাইটটি (বিজি১৪০৩) হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ওই সময় জাপানের পক্ষ থেকে বিমানবন্দরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা ছাড়াও রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

জাপান সফরে তিনি কৃষি, মেট্রোরেল, শিল্প আপগ্রেড, জাহাজ পুনর্ব্যবহার, শুল্ক বিষয়ক, বুদ্ধিবৃত্তিক বৈশিষ্ট্য, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, আইসিটি এবং সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতার বিষয়ে আটটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

পরদিন ২৬ এপ্রিল জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি একই দিনে চুক্তি স্বাক্ষরের পর জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এরপর ২৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য চারজন জাপানি নাগরিককে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ হস্তান্তরের পাশাপাশি, একটি বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন এবং একটি কমিউনিটি সংবর্ধনায় যোগ দেন।

এছাড়াও জাপান সফরকালে প্রধানমন্ত্রী দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশির সঙ্গে অতিরিক্ত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পাশাপাশি জাইকা, জেইটিআরও, জেইইআইসি, জেবিপিএফএল, জেবিসিসিইসি-এর নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও বৈঠক করেন। সেই সঙ্গে জাপানের প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের স্ত্রী আকি আবে এবং জাপানি স্থপতি তাদাও আন্দোর সঙ্গে বৈঠক করেন সরকারপ্রধান।

পরবর্তীকালে জাপানি প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে টোকিওতে চার দিনের সরকারি সফর শেষে ২৯ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশটিতে সফরকালে বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংকের অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে একটি গোলটেবিল বৈঠক এবং বিশ্বব্যাংকের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভার সঙ্গে বৈঠকসহ বেশ কয়েকটি বৈঠক ছাড়াও একটি নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন সরকারপ্রধান।

এরপর ৪ মে যুক্তরাজ্যসহ কমনওয়েলথভুক্ত দেশের রাজা ও রানী হিসেবে তৃতীয় চার্লস ও তার স্ত্রী ক্যামিলার অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সফরের তৃতীয় ধাপে ওয়াশিংটন থেকে লন্ডনে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। পরে যুক্তরাজ্যে অবস্থানকালে ৬ মে লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে রাজা তৃতীয় চার্লস ও রানীর অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এছাড়াও লন্ডনের হোটেল ক্লারিজে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লিভারলি ও তার স্ত্রী সুজানা স্পার্কসও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন। যুক্তরাজ্যে সফরকালে প্রধানমন্ত্রী এই হোটেলেই অবস্থান করেন। এছাড়াও একই দিন প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে ক্লারিজ হোটেলের ফয়ের প্রাইভেট ডাইনিং রুমে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার আয়োজিত এক নৈশভোজেও অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সবশেষ গত রোববার (৭ মে) যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার ও কমনওয়েলথের মহাসচিব ব্যারোনেস প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ডও ক্লারিজ হোটেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। পরে লন্ডন ম্যারিয়ট হোটেলে যুক্তরাজ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও যোগ দেন সরকারপ্রধান। একই দিনে তিনি বিবিসিকেও একটি সাক্ষাৎকার দেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

জাপান,যুক্তরাষ্ট্র,যুক্তরাজ্য,প্রধানমন্ত্রী
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত